এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ। মজার ব্যাপার হলো তাকে যখন নোবেল পাওয়ার খবর ফোনে বলা হয় তিনি প্রথমে তা বিশ্বাস করতে পারেননি। বরং ফোন করা ব্যক্তিকে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী ভেবে ধমক দিয়েছিলেন। বিবিসিকে আবদুলরাজাক বলেন, ঠিক মধ্যাহ্নভোজের আগের ঘটনা। আমি তখন চা বানাচ্ছিলাম। সেই সময় ফোন বেজে ওঠে। আমি ভেবেছিলাম কোনো বিক্রয়কর্মী হবে। ফোন ধরার পর অপর পাশে থাকা ব্যক্তি বলেন, ‘হ্যালো আপনি সাহিত্যে নোবেলে পেয়েছেন’। আমি বললাম, ‘তুমি, দূর হও। আমাকে একা থাকতে দাও’।
পরে অবশ্য ফোন করা ব্যক্তি তাকে বুঝাতে সক্ষম হন সত্যি সত্যি তিনি এবছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। তার দরদি ভাষার দ্ব্যর্থহীন লেখায় ফুটে উঠেছে ঔপনিবেশিক শাসনের দুর্দশা আর শরণার্থীদের কষ্টের গল্প। গত বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১৮তম লেখক হিসেবে গুরনাহর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। তিনি এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার বা ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার পাবেন। ৭৩ বছর বয়সী এই লেখক ১০টি উপন্যাস লিখেছেন। এর মধ্যে ‘প্যারাডাইস’ অন্যতম। উপন্যাসটি ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।
এই উপন্যাসে ২০ শতাব্দীর গোড়ার দিকে তানজানিয়ায় এক কিশোরীর বেড়ে ওঠার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে নিপুণভাবে। পরে এটি সাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ বুকার পুরস্কার জিতে নেয়। তিনি ১৯৪৮ সালের জাঞ্জিবারে জন্মগ্রহণ করলেও যুক্তরাজ্যে বাস করছেন গুরনাহ। তিনি ইউনিভার্সিটি অব কেন্টে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনায় যুক্ত আছেন। নোবেল পুরস্কার পেয়ে তিনি ‘বিস্মিত হয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুসারে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অবদানের জন্য প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। গতবছর সাহিত্যে এ পুরস্কার পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কবি লুইস গ্লিক। সূত্র: বিবিসি