জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কড়িয়া দরগাঘাট হতে লকমা জমিদার বাড়ি এবং জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার উনিয়নের কল্যানপুর, রামকৃক্ষপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল অবস্থা। হেঁটে যাতায়াতের অনুপযোগী রাস্তা দিয়েই স্কুল/কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ গ্রামবাসীকে যাতায়াত করতে হয়। এই রাস্তা হয়েই লকমা রাজার জমিদার বাড়িটি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসে, কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারনে পরবর্তীতে তাদের আর দেখার আগ্রহ থাকেনা।বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রীসহ এই অঞ্চলের হাজার হাজার জনসাধারণকে। এ ছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় মাদক পাচারকারীরা এ সড়কটি তাদের নিরাপদ রুট মনে করে চলাচল করে। কারন এ সড়কটিতে বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসতে পারেনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ,কে,এম সামসুল হোদা চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো সংস্কার না করায় এই কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে তা হাবড়ে (গভীর কাদা) পরিণত হওয়ায় একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। রাস্তার মাটি এঁটেল হওয়ায় এবং ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার চলাচল করায় হেঁটে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এই রাস্তায় স্থানভেদে ৩ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত কাদার গভীরতা লক্ষ্য করা যায়। অত্র এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এই কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বেশি কষ্ট পোহাতে হয়। এলাকাবাসী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আত্মীয়স্বজনও এই গ্রামে আসতে চায় না। শুধু কাদার কারণে অনেকে এই গ্রামে ছেলে মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। তাদের মতে, গভীর রাতে প্রসববেদনা উঠলে রাস্তায় কাদার কারণে যানবাহন না থাকায় কাঁধে করে কাদা পার করে নিয়ে যেতে হয় অন্তঃসত্ত্বাকে। এতে গর্ভের অনেক শিশুর মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে বলেন, উক্ত রাস্তাটি পাকা করনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ জয়পুরহাট-১ আসনের গণমানুষের প্রিয় নেতা জনাব এ্যাড. সামছুল আলম দুদু এমপি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের চলাচল ব্যবস্থা সহজ করে দিবেন।