দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ। তারপরও হিলির বাজারগুলোতে দেশি মরিচের দাম কেজিতে ৫০-৬০ টাকা কমেছে। পাঁচ দিন আগে প্রতি কেজি দেশি কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমেছে। গতকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) হিলির বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা সিদ্দিক হোসেন বলেন, পাঁচ দিন আগে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। এখন দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভারতের চেয়ে দেশের কাঁচামরিচের মান ভালো, স্বাদও ভালো। আরেক ক্রেতা নুর ইসলাম বলেন, কাঁচামরিচের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমেছে। এদিকে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি। তাই মরিচের দাম কমায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ একটু হলেও বেঁচেছে। বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন ও বাবলু শেখ বলেন, কিছুদিন আগে অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে বাজারে দেশি মরিচের সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে দাম বাড়ে। পরবর্তীতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়। তবে এখন আবহাওয়া ভালো থাকায় ও শীতের ভাব পড়ায় উৎপাদন ভালো হচ্ছে। এ কারণে বাজারে দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ বেড়েছে।
তারা বলেন, আগে হাটে কাঁচামরিচ এক থেকে দেড়শ’ মণ আমদানি হচ্ছিল। বর্তমানে সরবরাহ বাড়ায় হাটে আমদানি হচ্ছে দুই থেকে আড়াইশ’ মন। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে। পূজার কারণে ১১ অক্টোবর থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকলেও, দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ বাড়ায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্টো দাম আরও কমেছে।