বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মাছের আঁশে স্বপ্ন দেখেন কুমিল্লার মাহবুব

বাসস:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১

মাছের আঁশে জীবন বাঁচে, এই ধারণাটার সাথে আগে থেকে অনেকেই পরিচিতি না হলেও এখন বাস্তবে তাই হচ্ছে। বাতিল জিনিষ মানেই যে ফেলনা নয়, এটা এখন প্রমাণিত। মাছের আঁশে তৈরি হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। শুধু তাই নয় বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রী, ফুড সাপ্লিমেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় মাছের আঁশ। এছাড়াও কোলাজেন নামক একটি পণ্য বিক্রি হয় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের দোকানে দোকানে। তাও তৈরি হয় মাছের আঁশ দিয়ে এসব কথাও জানান কুমিল্লার মাহবুব।
মাহবুবব বাসসকে বলেন, জীবনে কখনও ভাবেননি মাছের আঁশের ব্যবসা করবেন। আর এখন পুরো ধ্যানজ্ঞানই তার এই ফেলনা জিনিসটি। প্রায় ১২ বছর আগে মাহবুবের সাথে এক আঁশ ক্রেতার পরিচয় হয় ঢাকায়। সেই যে হাঁটা শুরু করলাম, আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
মাহবুব কুমিল্লা নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে। বাবা-মার চার ছেলে মেয়ের মধ্যে মাহবুব সবার বড়। গত ১৪ বছর ধরে তিনি কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে মাছ কাটেন আর ১২ বছর ধরে মাছের আঁশের ব্যবসা করেন। এখন তার দেখাদেখি আরো কয়েক যুবক এই মাছের আঁশের ব্যবসা শুরু করেছেন।
মাহবুব বাসসকে জানান, একদিন ঢাকায় দেবদূতের ন্যায় দেখা হলো এক ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি জানালেন, মাছের আঁশগুলো বাসা বাড়ি কিংবা বাজার থেকে সংগ্রহ করে শুকিয়ে আমাকে দিলে আমি কেজি প্রতি তোমাকে ৪০ টাকা দেব। এ কথায় কুমিল্লা এসে একটি পাত্র নিয়ে সকালেই চলে গেলাম রাজগঞ্জ বাজারে। বাজারে দুপুর পর্যন্ত থেকে মাছের আঁশ সংগ্রহ করে ঝাকুনীপাড়া সংলগ্ন এই গোমতী নদীর পাড়ে শুকিয়ে ঐ ব্যবসায়ীকে দিলাম ৬ কেজি মাছের আঁশ। তিনি আমাকে ৪০ টাকা ধরে ২৪০ টাকা দিলেন নগদ। এতে আমার আস্থা এবং উৎসাহ বেড়ে গেল। শুরু করলাম পেশা হিসেবেই মাছের আঁশ সংগ্রহ করাকে। এরপর থেকে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, রানীর বাজার, টমছমব্রিজ, বাদশা মিয়ার বাজার, পদুয়া বাজার চৌয়ারা বাজার, ক্যান্টনমেন্ট বাজারসহ নানা বাজারে লোক নিয়োগ করি। আমার এ কাজে আমাকে ছয়জন সহযোগিতা করেন। যারা প্রত্যেকেই মাসিক বেতনভুক্ত। আমার এই সহযোগীরা বিভিন্ন বাজার থেকে মাছের আঁশ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন আর আমি তা শুকিয়ে প্রস্তুত করি। ঢাকার পাইকাররা আমার বাড়ি এসে প্রতি মাসে এই মাছের আঁশ নিয়ে যান। মাসে গড়ে আমি ৬০০ কেজি মাছের আঁশ শুকিয়ে বিক্রির উপযোগী করতে পারি।
মাহবুবের দেখাদেখি কুমিল্লার বাদশা মিয়া বাজারের বাদশা আর চান্দিনার খলিলও এখন এই ব্যবসা শুরু করেন।
মাহবুব বলেন, প্রথম প্রথম এলাকার মানুষ আমাকে অন্য চোখে দেখত। ঘৃণা করত। বলত যেই মাছের আঁশ আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দেই আর সেগুলো সে বাড়ি এনে শুকায়। এখন স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা বেশি এখন অনেকেই এই পেশায় আগ্রহী হতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বাসসকে বলেন, মাছের আঁশ শুকিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার হচ্ছে। মাহবুবকে জেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সে যেন সঠিক ভাবে এই কাজটি করতে পারে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com