কলকাতা থেকে প্রকাশিত এই সময়ের এক প্রতিবেদনে গতকাল সোমবার উল্লেখ করেছে,বাংলাদেশের কুমিল্লা এবং নোয়াখালিতে সা¤প্রদায়িক অশান্তির ঘটনার আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী, সমস্ত দলের পক্ষ থেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এক অপরকে কটাক্ষ করার পালাও চলছে। এর মধ্যেই আসন্ন উপনির্বাচনের ময়দানেও ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের এই ঘটনা। রবিবার শান্তিপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশের ঘটনাকে হাতিয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘বাংলাদেশের ঘটনার পর আরও তিনগুণ বেশি ভোটে এই আসনে জিতবে বিজেপি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।’
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। আর এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তিপুর বিধানসভায় ইতিমধ্যে চতুর্মুখী লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভায় জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই শান্তিপুর বিধানসভায় আবারও উপনির্বাচন হতে চলেছে। দ্বিতীয়বারের লড়াইয়ে জায়গা ছাড়তে নারাজ বিজেপি। রবিবার দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এবং শান্তিপুরের একটি বেসরকারি লজে কর্মীসভায় যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বাংলাদেশের হামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। শুভেন্দু বলেন, ‘ওপার বাংলা থেকে অত্যাচারিত হয়ে মানুষজন এখানে এসেছে। ওপার বাংলায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় যা হয়েছে, তার উত্তর শান্তিপুরের মানুষ দেবে।’