মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গত দুই দিনের অব্যাহত মাঝারী বৃষ্টিপাত। অপরদিকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ডালিয়া তিস্তা নদীর ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়ায় তীব্র গতিতে বেরেছে তিস্তা নদীর পানি ও ভাঙ্গন। এতে করে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই, দলদলিয়া, গুনাইগাছ সহ বজরা ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ায় এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অনেক পরিবারের চুলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করতে না পারায় অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে রয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা ঝুকি নিয়েই পানিতে চলাচল করছেন। এসব অঞ্চলের অনেক পরিবারের গবাদি পশু গুলো নৌকায় করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ নিরাপদ স্থানে রেখেছেন থেতরাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রেখেছেন। থেতরাই ইউনিয়নের চর গোড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া জানান, বুধবার সকাল থেকেই হু হু তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। পানিতে অনেক স্রোত চলমান রয়েছে। দুপুরের দিকে সে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে নদী অববাহিকার নি¤œাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে এবং রাতেই আমার বাড়ি সহ চর গোড়াইপিয়ার এলাকার অন্তত ৬শ বাড়ীতে পানি প্রবেশ করেছে। উলিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উলিপুর উপজেলার থেতরাই, দলদলিয়া, গুনাইগাছ সহ বজরা ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যা আজকেই পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণ করা হবে। আমরা এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলতেছি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ পানি নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। নদী ভাঙ্গন রোধে এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলানো হচ্ছে বলেও জানান।