দেশব্যাপী ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির, হিন্দু বাড়িঘর-দোকানপাঠে হামলা ও নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে সনাতনী ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সমাবেশে বক্তারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার আহবান জানিয়ে হিন্দু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ১৯৭২ সালের সংবিধান পূণ:প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানানো হয়। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনা চত্বরে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি জিডিসন প্রধান সুচিয়াং এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেবের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক সুব্রত দেবরায় সঞ্জয়, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, উপজেলা জাগো হিন্দু পরিষদের আহবায়ক বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রেনক্লাবের সহ সভাপতি সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, উপজেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শাব্বির এলাহী, সাংবাদিক শাহীন আহমদ, উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক নির্মল সিংহ পলাশ, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নবেন্দু ভট্টাচার্য্য, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা কালিপদ দেব, হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের সভাপতি জ্যোতির্ময় দেব, মণিপুরী যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার সিংহ, চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন, মহিলা চা শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানু প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পূজা উদয়াপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রত্যুষ ধর, উপজেলা হিন্দুু মহাজোটের সভাপতি অর্জুন দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সজীব দেবরায়, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী মুন্না রায় প্রমুখ। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি, তরুণ সনাতনী সংঘ, হিন্দু মহাজোট ও অঙ্গ সংগঠন, জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ মণিপুরী যুবকল্যান সমিতি, হিন্দু ছাত্র পরিষদ, পাত্রখোলা রাধাকৃষ্ণ বিহারী মন্দির, রামপুর সার্বজনীন দুর্গাবাড়ি, মইদাইল, কামারছড়া চা বাগান দুর্গাবাড়িসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপের বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিমা ও মন্দির ভাঙচুর, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাঠ এবং অগ্নিসংযোগকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে চারদফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।