নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর তীরে প্রতিনিয়ত ক্ষতিকারক প্লাস্টিক দ্রব্য পুড়িয়ে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। প্লাস্টিক পোড়ানোর ধূঁয়া লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছেন নদী তীরের বাসিন্দারা। দিনের পর দিন এই কাজ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি রোধে কোনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা সদরের উপজেলা কমপ্লেক্সের পশ্চিমে আত্রাই নদীর তীরে তীব্র দূর্গন্ধযুক্ত ধূঁয়ার কুন্ডলী উড়তে থাকলে সেখানে গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য প্লাস্টিকের বোতল আগুন দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। আর এর ধূঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে নদীর দু’তীরের লোকালয়ে। নদী তীরে বেড়াতে আসা মানুষেরাও পড়ছেন বেকায়দায়। আগুন উসকে দিচ্ছিলেন দু’যুবক। তারা জানালেন, এভাবে প্রায়ই স্থানীয় ভাঙ্গারির দোকানের অপ্রয়োজনীয় ফেলনা সামগ্রী নদীতীরে এনে ফেলে রেখে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে নিশ্চিহ্ন করা হয়। প্লাস্টিকের যে কোন বোতল ও সামগ্রী রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু কীটনাশকের বোতল রিসাইক্লিং করা হয়না। ভাঙ্গারির দোকানের কর্মচারিরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে পুরানো প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ করে থাকেন। এগুলোর মধ্য থেকে বিষাক্ত বোতলগুলো বেছে নিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। এই বিষাক্ত ধূঁয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জেনেও তারা এটা কেন করছেন তা তারা জানাতে পারেননি। তবে দীর্ঘদিন ধরে এগুলো পোড়ানো হলেও কেউ তাদেরকে বাধা দেননি বলেও জানান। জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবদুল হাকিম জানান, প্লাস্টিকের ধূঁয়ায় ক্যান্সারের ঝুকি থাকে। তার উপর কীটনাশকের বোতল হলে তা আরও মারাত্মক। লোকালয়ের আশেপাশে কোনক্রমেই এগুলো পোড়ানো যাবেনা। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে পরিবেশ অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য বিভাগের এদের বিরুদ্ধে কিছু করার নেই বলেও তিনি জানান।