ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী ১০৩ জন। তাদের পাঠদানের কাজে নিয়োজিত ৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন শিক্ষক পিটিআইয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ছুটিতে। বাকি ২ জন সহকারী শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজগুলো করতে হচ্ছে ঐ ২ সহকারীর ১ জনকে। একই অবস্থা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অন্যান্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সরেজমিনে দেখা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাঙালি সরকার ও মোমিন উদ্দীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোকমান আলী স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়গুলোর দুজন সহকারী শিক্ষকের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে সামলাচ্ছেন সব কাজ। শিক্ষকের ঘাটতি থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নে কাশুয়া খাদেমগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া ও দাপ্তরিক কাজ দেখাশোনা করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না হলে বিদ্যালয় পরিচালনা করা আরও কষ্টসাধ্য হবে। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে না। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শিক্ষা অফিস জানায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ১৩৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। বিদ্যালয়গুলোতে ৬১২ জন সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে আছেন ৫৫৫ জন। ঘাটতি পূরণ করতে আরও ৫৭ জন সহকারী শিক্ষক প্রয়োজন। তবে নিয়োগ হলেও কিছুদিন পর অনেকেই আরও ভালো চাকরি পেয়ে অন্যত্র চলে যান। এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল আজাদ বলেন, দকরোনার কারণে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যা থেকে বিদ্যালয়গুলো মুক্তি পাবে।