নওগাঁ জেলার দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১১ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার জেলার সদর উপজেলার ১২টি এবং রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন এ দুই উপজেলার ১৮৫টি ভোট কেন্দ্রের ১০৩৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যালটপেপার. ভোটবাক্সসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরন করার কার্যক্রম চলছে। তিনি জানিয়েছেন বৃহষ্পতিবারের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার বক্তারপুর এবং রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। বাঁকী ১৮টি ইউনিয়নে যথারীতি ব্যলটের মাধ্যমে ভোটগ্রহন করা হবে। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১০ হাজার ৯শ ৮২ জন এবং রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭শ ৩৪ জন। নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১১১টি কেন্দ্রের ৬০১টি কক্ষে এবং রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৭৪টি কেন্দ্রের ৪৩২টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৫২ জন এবং সাধারন সদস্য পদে ৪১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮৮ জন এবং সাধারন সদস্য পদে ২৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে ১১ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ এবং শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নান মিয়া জানিয়েছেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এ দুই উপজেলায় মোট ১ হাজার ২শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ সদস্যের সাথে ২২/২৪ জন আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন কর্ াহবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোব্ইাল টীম এবং প্রতি ৩টি ইউনিয়নের জন্য একটি করে ষ্ট্রাইকিং ফোর্স টহলরত থাকবে। নির্বাচনী এলাকায় ১০ জন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং ২ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্বরত থাকবেন। এ ছাড়াও সাদ্ াপোষাকে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষনিক টহলরত থাকবে।