শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সদর থানা দক্ষিণ কেওয়ার রাস্তা ভেঙ্গে পড়ায় এলজিইডি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা চকরিয়ায় মানববন্ধনেও থামছেনা বালু লুট পাটগ্রামে যুগের আলো পত্রিকার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মতবিনিময় সভা নগরকান্দায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত বিভিন্ন ক্যটাগরীতে গুণী শিক্ষক মনোনীত সংসারের পাশাপাশি দিনাজপুর জেলা বিএনপির রাজনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন হাসি আকতার হিরা ভাঙ্গুড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা বড়লেখায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন উদ্যোগে সিরাতুন্নবী সা. মাহফিল বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা মন্ডপে সন্ত্রাসী হামলার আশংকা করছেন জয়নুল আবেদীন ফারুক কেশবপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিএনপি’র দোয়া ও আলোচনা সভা

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ : সাফাতসহ সব আসামি খালাস

শামছুল আরিফ:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার সাফাত ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম। এর আগে গতকাল ১১ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
গত ২৭ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সিনিয়র আইনজীবী বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাই বিচারক রায় ঘোষণার জন্য আজ ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি হয়। ওই দুই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করেন। মামলার কয়েকদিনের মধ্যে ১১ মে সিলেট থেকে সাফাতকে গ্রেফতার করা হয়। তার সাথে গ্রেফতার হন সাদমানও। অন্য আসামিদেরও এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় চলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান। বেআইনি সোনা পাওয়ায় দিলদারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। মামলা হওয়ার পরের মাসেই ৭ জুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারপর বিচার শেষ হতে চার বছর লেগে গেল। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের শাস্তি চাইলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ইন্ধনে এ মামলাটি হয়েছে। মডেল পিয়াসা স¤প্রতি মাদকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন। সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হওয়ার কয়েক মাস আগে তার সাথে পিয়াসার বিচ্ছেদ হয়। ফারিয়া আর তার সাবেক শ্বশুর দিলদারের মধ্যেও পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছিল।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com