স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেয়ার আশা ব্যক্ত করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর আরো তৎপর হওয়া এখন সময়ের দাবি। অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগদানের পাশাপাশি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ান ফয়সল চৌধুরী এবং সারাহ বোয়াকের সাথে বৈঠকে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের প্রেস মিনিস্টার আশেক-উন-নবী চৌধুরী এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
স্কটিশ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ হলেও পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হচ্ছেনা। ফলে বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোকে সংগ্রামে লিপ্ত হতে হচ্ছে।
স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ানদেরকে তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, অভিযোজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও উৎসাহে দেশীয় অর্থায়নেই বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা খরা, বন্যা, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততা সহিঞ্চু জাতের শস্য উৎপাদন করেছেন ও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের সংসদের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠন ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় এমএসপি ফয়সল চৌধুরী বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান। জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে ১৭ নভেম্বর তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।