লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসন- ০২ (৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড) এর ভোটের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। সংরক্ষিত আসন- ০২ এর বই প্রতীকের প্রার্থী শিরিন আক্তার জানিয়েছেন, আমার নির্বাচনী এলাকার তিন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল মতে আমি ৫২৪ ভোট পেয়েছি আর আমার নিকটতম সূর্যমুখী ফুল প্রতীকের প্রার্থী আচিং মার্মা পেয়েছে ৫১১ ভোট। আমি ১৩ ভোটে বেশি পেয়েছি। অথচ গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক সরবরাহকৃত ভোট গণনার ফলাফল যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ না করে ফলাফল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি রাতে আমাদের দুইজনের ফলাফল সমান সমান উল্লেখ করে ঘোষণা দেন। রিটার্নিং অফিসার ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা গ্রহণ করে মনগড়া গণনার ফলাফল লিপিবদ্ধ করে ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ফলাফল পরিবর্তন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। উক্ত কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক দেয়া ফলাফল সীট (ফরম-ঠ-১) আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। ৬নং ওয়ার্ড কেন্দ্র রেমং মেম্বার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ নাজেম উদ্দিন বলেন, আমরা কেন্দ্রের ফলাফল গণনা করে সকল প্রার্থীদের হাতে দিয়েছি। রিটার্নিং অফিসার কি ফলাফল ঘোষণা করেছে সেটা আমি জানিনা। গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী বলেন, আমাকে প্রিজাইডিং অফিসাররা যে ফলাফল দিয়েছি আমি তা একীভূতকরণ করে ঘোষণা করেছি। গজালিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড রেমং মেম্বার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ বার ভোট গণনা করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার বলতে পারবে। কিন্তু উক্ত কেন্দ্রে দুইবার ভোট গণনা হয়নি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রে থাকা কয়েকজন প্রার্থী এজেন্টরা। এই বিষয়ে আইনী কোন প্রতিকার না পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ২০২১ইং বিকেল সাড়ে ৩টায় লামা রিপোর্টার্স ক্লাবের হলরুমে জালিয়াতির প্রতিবাদে ও ভোট পুনঃগণনার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বই প্রতীকের প্রার্থী শিরিন আক্তার। এই সময় তার সমর্থক ও বেশকয়েকজন ভোটার উপস্থিত ছিলেন।