এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি ৩০ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে বেড়েছে ৩শ’ টাকা ও ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে বেড়েছে প্রায় দেড়শ’ টাকা করে। নিত্য প্রয়োজনীয় এই গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলাার এলপিজি গ্যাস ব্যবহারকারী মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩০ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম খুচরায় পাওয়া যেতো ২৩শ’ টাকায়। এখন সেটির দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ২৮শ’ টাকা। ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিলো ৯শ’ থেকে সাড়ে ৯শ’ টাকা। এটির দাম বেড়ে হয়েছে এখন ১ হাজার ৩শত তের টাকা। গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস হবার উপক্রম হয়েছে। চায়ের দোকানীরা খরচ পোষাতে চায়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ডিস্ট্রিবিউটর সূত্রে জানা যায়, কোম্পানী থেকেই চলতি মাসে কিছুটা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত মাসে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিলো ৮৮০ টাকা। এমাসে তারা বিক্রি করছেন ১ হাজার ২শত ৫০টা টাকা করে। ৩০ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিলো ২৮ শ’ টাকা। এমাসে এটি বিক্রি করছেন ২৪ শ’ টাকা করে দরে। চায়ের দোকানী সুজন মিয়া বললেন, তিনি ২ দিন আগে ৩০ কেজির এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ২৮শ’ টাকা দিয়ে কিনে এনেছেন। অথচ এর আগের সিলিন্ডার কিনে এনেছেন ২৩শ’ টাকা দিয়ে। সিলিন্ডার প্রতি ৩শ’ টাকা বৃদ্ধিতে চা বিক্রি এখন লোকসান উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে এখন এক কাপ চায়ে খরচ হয় চার টাকার উপরে। এই চা পাঁচ টাকায় বিক্রি করলে এখন পোষাবে না। এজন্য ৭ টাকা কাপ বিক্রি করতে হচ্ছে। কাস্টমারও কিছু কমেছে। প্রদীপ চন্দ্র বললেন, গতমাসেও ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার সাড়ে ৯শ’ করে কিনে এনেছি। এমাসে একই পরিমাণের সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ১ হাজার পঞ্চাশ টাকা করে। এই লকডাউনে এমনিতেই আয় রোজগার তেমন একটা নেই। আমি যেখানে বসবাস করি সেখানে লাকড়ি চুলা ব্যবহার করার উপায় নাই তাই অতিরিক্ত দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনতে বাধ্য হচ্ছি। গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রেতা মামুনুর রশিদ বললেন, দাম বৃদ্ধির সঙ্গে লকডাউনের কোনো সম্পর্ক নেই। এমাসে আমরা পাইকারি ভাবেই অতিরিক্ত দাম দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনতে হয়েছে। তাই আমরাও কিছুটা দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছি। তবে আগের চেয়ে গ্যাসের বিক্রয় অনেক কমে গেছে। বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ডিস্টুবিউটার মেসার্স রহমান এন্টার প্রাইজের সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার কানন সরকার বললেন, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী সারাদেশে ৩০টি কোম্পানী রয়েছে। প্রত্যেকটি কোম্পানীই আলাদা আলাদা করে সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান সরকারি রেট ও কোম্পানীর রেটের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৩০ কেজি সিলিন্ডার ২৮শ’ টাকা করে আমরা বিক্রি করি। ১২ কেজি সিলিন্ডার ১ হাজার ২শত ৫০টাকা করে বিক্রি করি। এখন খুচরা বিক্রেতারা কত টাকায় বিক্রি করেন, সেটা আমরা জানি না।