তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের শুক্রবার দুপুরের বিক্ষোভে নাশকতা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দেশের বিভাগগুলোর ডিআইজি ও জেলা এসপিদের এ সংক্রান্ত সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ডিএমপির কমিশনারসহ রাজধানীর প্রত্যেক জোনের উপ-কমিশনারকে ক্ষুদে বার্তায় সর্তক করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্পর্শকাতর স্থাপনাসহ দুতাবাস, ব্যাংক বীমা আদালতকে নিরাপত্তাবলয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে।
রাজধানীর সচিবালয়সহ সরকারি আধা সরকারি অফিস আদালত ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে র্যাব-গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। তাছাড়া সহযোগী হিসেবে সতর্ক পাহারায় থাকবে এপিসি, রায়টকার, জলকামান ও দমকল বাহিনী। জেলা শহরেও একইভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। জেলার নিরাপত্তার বিষয়টি মনিটরিং করবেন জেলা পুলিশ সুপার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার ও সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার রিাপোর্ট অনুযায়ী তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের বিক্ষোভের ডাকে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে ওইদিন দুপুরে ব্যস্ততম গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, লালবাগ জামে মসজিদ, কাঁটাবন জামে মসজিদ, নাখালপাড়া জামে মসজিদ, কামরাঙ্গীরচর হাফেজ্জী হুজুরের মাদ্রাসাসহ তালিকাভুক্ত বেশকটি মাদ্রাসা ও মসজিদ এবং এতিমখানা নজরদারিতে রাখা হবে।
জানা গেছে, টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় আগামীকাল শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বাদজুমা সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত ওলামায়ে কেরাম ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা। সংঘর্ষের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ওয়াসিফুল ইসলাম, খান সাহাবুদ্দিন নাসিম ও মৌলভী ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে শুক্রবার ফজরের আগে গ্রেফতারের দাবি করেছে তারা। গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি করেন।
মানববন্ধনে চকবাজার শাহী মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মিনহাজ উদ্দিন লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। এরমধ্যে- মূল পরিকল্পনাকারীদের আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের আগে গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ওয়াসিফ নাসিম সা’দপন্থী হাতাঁতী খুনিদের কাকরাইল মারকাজসহ সারা বাংলাদেশের দাওয়াতি কার্যক্রম থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে, বিশ্ব ইজতেমার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইজতেমার ময়দান আহলে হক ওলামায়ে কেরাম ও হকপন্থি তবলিগি সাথীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং হামলায় নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি মুফতি মিনহাজ ঘোষণা করেন যে, দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে আগামীকাল শুক্রবার বাদজুমা সারাদেশে সব মসজিদ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল করা হবে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে বলে তিনি ঘোষণ্ করেছেন। এ ঘোষণার পরই গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
খবরপত্র/এমআই