টানা দুটি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ফুটবল দলের পরিস্থিতি ছিল এমন- তীরে এসে ডুবলো তরি। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করাতে ফাইনাল স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অথচ অন্য সবার মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও চেয়েছিলেন দল ফাইনালে উঠুক। কিন্তু বাকিদের মতো হতাশার সাগরে ডুবতে হয়েছে তাকেও। বাস্তবতা এখন এমন, সাবেক এই তারকাও এখান থেকে উঠে আসার তাগিদ অনুভব করছেন। নতুন বছরে জাতীয় দল নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনার কথা বলছেন।
বুধবার বিকালে বাফুফে ভবনে নিজের কক্ষে বসে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ভিডিও দেখছিলেন বাফুফে সভাপতি। আর তা দেখে যেন আফসোসই ঝরলো তার কণ্ঠ থেকে। টানা দুটি প্রতিযোগিতা থেকে এভাবে বিদায় নেওয়া দুঃখজনক উল্লেখ করে সাবেক তারকা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘পেনাল্টিতে গোল খেয়ে কাল রাতে আমরা যেভাবে বিদায় নিলাম, এর আগে সাফ থেকেও পেনাল্টিতে বাদ পড়েছি, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কেন দল পারছে না, কেন হচ্ছে না। এটা কিন্তু আমরা করে (মাঠে খেলে) দেখাতে পারবো না। তাদের নিজেদেরই সমাধান বের করতে হবে। তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ’
এটা নতুন নয় ফুটবলের ব্যর্থতায় সমালোচনার তীর ছুটে সভাপতিকে লক্ষ্য করে। বাফুফে সভাপতি কিন্তু এবার দায় নিতে বললেন ফুটবলারদেরই, ‘ওরা জানে সব দোষ সভাপতি পর্যন্ত যাবে। এখন ওরা এড়িয়ে যেতে পারবে না। দায়টা তাদের নিতে হবে।’ এরপরই তিনি যোগ করে বলেছেন, ‘আপনি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন, খ্যাতি আছে। লোকে তো এতদিন আমাকে, ওকে গালাগালি করেছে। কয়দিন পর বলবে (খেলোয়াড়দের) দুই মিনিট বাকি থাকতে তুমি গোল খাও কেন? দুই মিনিট আগে কেন হ্যান্ডবল করো? কেন দুটি প্রতিযোগিতার প্রথমটিতে ৮৭ ও পরেরটিতে ৯০ মিনিটে ফাউল-হ্যান্ডবল হলো। এটা তো তোমাদের (খেলোয়াড়দের) সমাধান করতে হবে। ’ নতুন বছরে জাতীয় দলে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন কোচিং স্টাফের সঙ্গে যোগ হতে পারে নতুন কিছু খেলোয়াড়ও। সেই আভাস দিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘নতুন বছরে নতুন সেটআপ, নতুন কোচ, নতুন ম্যানেজার। ভিন্ন পরিবেশ। উচ্ছৃঙ্খল খেলোয়াড় থাকবে না। আমি তো আপনাকে নিয়ে হারছি। যদি হারের মধ্য দিয়ে উন্নতি করতে হয়, তাহলে আপনাকে নেবো কেন? প্রয়োজনে নতুন খেলোয়াড় নেওয়া হবে। কেননা, এর চেয়ে তো খারাপ ফল হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বিষয়গুলো আমি দেখবো। ’