নীলফামারীর ডোমারে খরা প্রবণ ট্যাংরা মাছের মিশ্রচাষের উপযোগীতা যাচাই র্শীষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নওদাবস এলাকায় মা আবেদা মৎস্য হ্যাচারীতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনিস্টিটিউট স্বাদু পানি উপকেন্দ্র সৈয়দপুরের আয়োজনে, বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা ইসতিয়াক হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। এসময় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনিস্টিটিউট সৈয়দপুর উপকেন্দ্রের প্রধান বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা রাশিদুল হাচান, মূখ্য বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা ড.জুলফিকার আলী, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনিস্টিটিউট ময়মনসিংহ, ডাঃ আনিছুর রহমান মূখ্য বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা চাঁদপুর, ডোমার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আংগুরী বেগম, মা আবেদা মৎস্য হ্যাচারীর স্বত্তাধিকারী তারিকুল ইসলাম শিমুল, ডোমার প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নীলফামারী জেলার খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের রামখোলা এলাকার মৎস্য চাষি নিতাই চন্দ্র বলেন, আমি ১৫ শতক জমিতে দেশী মাছের প্রকল্প করে ৩/৪ মাসের মধ্যে মাছ বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আংগুরী বেগম বলেন,বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে মাছের উৎপাদন ছিল ৭ লক্ষ মেট্রিকটন, বর্তমানে মাছের উৎপাদন বেড়ে দাড়িয়েছে ৪২ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশী। অনুষ্ঠানের সভাপতি ড.ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, আজ বিশ্ব মৎস্য দিবস। মৎস্য চাষে বাংলাদেশের মধ্যে ময়মনসিংহ ১ নম্বরে, সৈয়দপুরে মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের উপকেন্দ্র হওয়ায় এই অঞ্চলে মাছের চাষ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ২ কোটি মানুষ এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে এবং প্রতি বছর মৎস্য চাষে ৬ লক্ষ মানুষের কর্ম সংস্থান হচ্ছে। দেশীয় মাছকে ধরে রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি এ মাছ যাতে বিলুপ্তি হয়ে না যায় সে জন্য সরকার দেশে মৎস্য চাষে অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আপনাদের সৈয়দপুরে একটি জিংক ব্যাংক হবে, আমরা সৈয়দপুরকে পূর্ণাঙ্গরুপে উপকেন্দ্র করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি তবে এটা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বাড়িয়েছে ৪২লক্ষ মেঃটন। আমরা আশা রাখি ২০৪১ সালের মধ্যে ৯০লক্ষ মেঃটন মাছ উৎপাদনে সক্ষম হব। এসময় বিভিন্ন এলাকা হতে আগত মৎস্য চাষিরাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মত বিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।