গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এই বহিষ্কারের কথা জানান। ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গীরের কিছু বিতর্কিত মন্তব্যসংবলিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করা হয়। জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজই মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মো. আতাউল্লাহ ম-লকে। তিনি মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের পরপরই তাঁকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। ১৯ নভেম্বরের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় বিবেচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করনে। মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ আছে। এর মধ্যে সরকারি সম্পদ অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি নানা অভিযোগ আছে। সেগুলো তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।