২৭ নভেম্বর শনিবার গাউসুল আযম বি এন এস বি আই হসপিটাল, দিনাজপুর এর আয়োজনে এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় দিনাজপুরে এই প্রথম বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস উপলক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র্যালী ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০ টায় চক্ষু হাসপাতাল চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালীর নেতৃত্ব দেন হাসপাতাল নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি এ্যাডঃ আব্দুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ সুজা-উর-রব, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ জনাব আলী, ডাঃ ওয়াহিদা বেগম, সদস্য ডাঃ আহাদ আলী, সেলিম আখতার চৌধুরী, মালেকা পারভিন, ইসতিয়াকুল চৌধুরী প্রিন্স সহ চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চিকিৎসকবৃন্দ। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন হাসপাতাল ম্যানেজার শফিকুল আলম। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতালে এসে সমাপ্ত হয়। দুপুর ১২টায় হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলার হলরুমে “অপরিণত নবজাতক শিশুর চোখের জটিলতা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাঃ চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন হাসপাতালের বিশিষ্ট শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইলিয়াস আলী খান এডিন, রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ। মুক্ত আলোচনা করেন ডাঃ শাহীদুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনা করেন ডাঃ শহিদুল ইসলাম খান, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ রইছ উদ্দিন আহম্মেদ, ডাঃ সাদেক, ডাঃ শেখ ফরিদ হোসেন ও ডাঃ আহাদ আলী। বক্তারা বলেন, অপরিণত নবজাতক শিশু জন্মের এক মাসের মধ্যে চিকিৎকের কাছে আনতে হবে এবং সেই শিশুর রেটিনা পরীক্ষা করে চিকিৎসা প্রদান করতে পারলে চোখের সমস্যা দূর হবে। স্বাভাবিক ভাবে সন্তান ২৮০দিন মায়ের গর্ভে থাকার কথা। তার পূর্বে অপরিণত নবজাতক শিশু জন্ম নিলে বিভিন্ন ধরনের চোখের রেটিনা জনিত রোগ দেখা দিতে পারে। তাই তাকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। কি কারণে অপরিণত নবজাতক শিশু জন্ম নেয় প্রশ্ন? আমরা জানি মায়ের রক্ত শূন্যতা, পুষ্টিহীনতা, অনেক মা নেশায় আসক্ত হয়ে সেই কারণে। এ ব্যাপারে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এই দিবস যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।