জনগণের ভোট প্রয়োগে নির্বিঘ্ন পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রশাসনের নিরগেক্ষতা এবং অধিকতর শাক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করার দাবীতেবরিশাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে দেশের ৬৪ জেলায় গলায় ফেষ্টুন ঝুলিয়ে ও মাথায় ব্যালট বক্স নিয়ে প্রচার ও প্রচারনায় নামা হানিফ বাংলাদেশী। সোমবার (২৯) নভেম্বর প্রচারনার ২৮তম জেলা বরিশাল সকালে হানিফ বাংলাদেশী জেলা প্রশাসক দপ্তরে গিয়ে রাষ্টপতি বরাবর তার স্বারকলিপি প্রদান করেন। পরে হানিফ বাংলাদেশী নগরীর শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে আসলে তার সাথে কথা বললে তার দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুড়ে ঘুড়ে জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করা ও নির্বাচন স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরীর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। এসময় দেশব্যাপি (পরিচিত) হানিফ বাংলাদেশী বাংলাদেশী বলেন এসময় আমরা পাকিস্তানীদের কাছ থেকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আজ আমাদের দেশ স্বাধিন হয়েছে প্রায় ৫০ বছর এখন আমরা এদেশে নাগরীকের মৌলিক অধিকার নিজস্ব ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি। একটি দেশে নির্বাচন কমিশন শাক্তিশালী না হলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে না। এসময় হানিফ বলেন সার্চ কমিটি এটাও একটা শুভংকরের ফাঁকি সরকার থেকে যাকে মনোনিত করা হয় সেএসে একই কাজ করবে। আমরা চাই আইনগতভাবে পাশ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। হানিফ বাংলাদেশী স্বাক্ষাৎকালে আরো বলে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত দেশের সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হলো নিজস্ব ভোটাধিকার। স্বাধিনতার ৫০ বছর যাবত যে দল যখনই রাষ্ট ক্ষমতায় এসেছে, সেদলই কমবেশি ভোটাধিকার গণতন্ত্রেরস্বাভাবিক ধারাকে বাঁধাগ্রস্থ করেছে। আজকের এই পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি, সব শাষকদলের অপরাজনীতি এই চরম অবস্থা সৃষ্টি করেছে। একারনেই জনগণের ভোটাধিকার ও নির্বিঘ্ন ভোট দেওয়ারপরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন সুযোগ দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, একটি শাক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সংবিধানের যে আইনের কথা বলা আছে রাষ্ট্রপতি সব মহলের সাথে আলোচনা করেসেই আইন প্রণয়ন করে নির্বাচণ কমিশন গঠন করার আহবান জানান। একই সাথে সকল জনগনকে নিজস্ব ভোটে অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবন্ধভাবে সবাইকে স্বোচ্ছার হওয়ার জন্য আবেদন করেন। উল্লেখ্যঃ হানিফ বাংলাদেশীর তিন বছরের ধারাবাহিকতা এই সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে গত ২৪ই অক্টোবর চট্রগ্রামের টেকনাফ জিরো পয়েন্ট থেকে জনসাধারনের ভোটাধিকার অধিকার আদায়ে ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রচারনার কার্যক্রম শুরু করেন। যা আগামী জানুয়ারী মাসের ঙ্গ তারিখ পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ করা আশা প্রকাশ করেন। এর আগে ২০১৮ সালে হানিফ বাংলাদেশী ভারতীয় সিমান্তে ফালানী হত্যার প্রতিবাদে ফালানীর প্রতিকী লাশ নিয়ে টেকনাফ থেতে ৩৩দিন পায়ে হেটে তেতুলিয়া গিয়ে শেষ করেন। হানিফ বাংলাদেশী একজন সাধারন কর্মজীবী নাগরিক, সে সবসময় অণ্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে এবং জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রমে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদী উপজেলায় হলেও তিনি বর্তমানে সেগুর বাগিচা,২৩/২ তোফখানা রোডে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করেন।