সরকার তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যদি খালেদা জিয়াকে বাঁচতে দেয়া না হয়, তাহলে এই সরকারও বাঁচতে পারবে না। এদের কাউকে আর বিদেশে চিকিৎসা করতে দেয়া হবে না। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিইউজে ও বিএফইউজের উদ্যোগে আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন থেকে এসব কথা বলা হয়।
এ সময় সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সাংবাদিক সমাজের জন্য একটা সুদিন। তিনি সকল ক্ষেত্রেই সাংবাদিকদের অবদান নিয়ে কথা বলেছেন। সাংবাদিক সমাজ তাই সব সময় তার সাথে ছিল আর এখনো থাকবে। খালেদা জিয়ার এই অবস্থানের জন্য সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, সরকার তাকে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। আর এটা হচ্ছে সরকারের প্রতিহিংসার কারণে। উচ্চ আদালতের জামিন না দেয়ায় আজ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এর জন্য ওদেরও (সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের) আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ বলেন, গত ১২ বছরে দেখা গেছে যে দেশে গণতন্ত্র না থাকায় দেশের জনগণ কোনো অধিকার পাইনি। আর তাই গণতন্ত্রহীন এই দেশে খালেদা জিয়ার সাথে আজ অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অপরাধ তিনি কখনো নির্বাচনে হারেননি, এটাই ওদের হিংসা। খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, যে খেতাব কেউ আর কখনো পাবেন না বলেই এত হিংসা। তিনি বলেন, রাস্তার একজন লোকও যদি চাই বিদেশে চিকিৎসা নিবেন, অর্থ থাকলে তিনি পারবেন। অথচ খালেদা জিয়াকে নিতে দিচ্ছে না এই সরকার। বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, তাকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কিনা? এটা হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। তাকে এমনটি করেই বাসায় পাঠানো হয়েছে। যাতে করে তিলে তিলে তিনি মারা যান। প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে দেশে তার আর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সারাদেশের মানুষ তার চিকিৎসা চাই। কিন্তু এ সরকার এখন তাকে চিকিৎসা না দিয়ে হত্যার দিকে তিলে তিলে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা পাওয়া রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ সরকার তাকে হত্যা করছে। তিন তিনবারের নেত্রীকে সুচিকিৎসা করতে না দিয়ে ক্ষমতাবানরা যা করছে তার কোনো ক্ষমা হবে না। দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায় এ সরকারকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না। ডিইউজে সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, রাখে আল্লাহ মারে কে। যদি তাই হয় তাহলে আপনার বাবার হত্যার বিচার করা হয়েছে কেন? মানববন্ধনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা কবি হাসান হাফিজ, শাহিন হাসনাত, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, খন্দকার আলমগীর হোসেন, ডিএম ওমর, ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, এইচএম আল-আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।