বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার একটি ইউনিয়নের মেম্বর পদে ৩ জন কে পরাজিত করে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত গোলাম শোকরানা রব্বানী আজাদ বালী গ্রামের নোংরা রাজনীতিতে পড়েছেন। গত ২০ নভেম্বর নির্বাচনের পর থেকে তাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত সেলিনা বেগম নামের একজন নারীর সহযোগি মোঃ মোশারেফ শেখ কে চুরি পরানো হয়েছে বলে কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করে কচুয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। স্থানীয় ষড়যন্ত্র ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে কচুয়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম শোকরানা রব্বানী আজাদ ২৪ নভেম্বর বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আজাদ বালী বলেন, গত ২০ নভেম্বর কচুয়া সদর ইউনিয়নের নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ডে তিনি ৮১৭ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্ধি মারুফ খান ১০১ ভোট, আলতাফ হোসেন ২ ভোট ও মোঃ মোখলেছ খান মাত্র ১ ভোট পান। আর সংরক্ষিত নারী আসনে সেলিনা বেগম বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। আমি নির্বাচিত হয়ে আমার সমর্থনকারি মুরুব্বিদের নিয়ে ওয়ার্ড বাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরাজিতরা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ওঠে। আর এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আমি এবং আমার লোকেরা নাকি মোশারেফ শেখ কে চুরি পরিয়ে দিয়েছি। যা তাদের ২/১জন ছাড়া কেহ দেখে নাই। এছাড়া পরাজিত সেলিনা বেগমের কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকী দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন আমার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বর্তমানে আমার পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।তাই উপায়ন্তর না পেয়ে আমি আমার প্রানপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কচুয়া উপজেলা শাখায় আবেদন করেছি। যাতে দলীয়ভাবে তদন্ত করে আসল ঘটনা উদঘাটন পূর্বক ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। এ বিষয়ে বাগেরহাটের সংবাদ কর্মীদেরও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।