সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন

সার সংকট ও দাম বেশি, বিপাকে হিলির আলুচাষিরা

মোসলেম উদ্দিন (হিলি) দিনাজপুর :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১

দিনাজপুরের হিলিতে শুরু হয়েছে আলুর চাষ। মাঠে মাঠে আলুর বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। আমন ধান প্রায় কাটা-মাড়াই শেষের দিকে। আলু চাষে প্রয়োজন বেশি সার, জমি তৈরি করার সময় লাগে পর্যাপ্ত বিভিন্ন প্রকার সার। তবে সারের সংকট আর বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, অভিযোগ আলু চাষিদের। এদিকে কৃষি দপ্তর বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ সার রয়েছে ডিলারদের নিকটে। আবার অনেক ডিলাররা বলছেন পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না তারা। হিলির বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, চলতি আমন ধানের কাটা-মাড়াই শেষের দিকে। আর আমন চাষিরা ধান কেটে ঐজমিতে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন। এছাড়াও অনেক জমিতে আলুর বীজও বপন করতে শুরু করেছেন তারা। কিন্তু সার সংকট দেখাতে আর তা বেশি দামে ক্রয় করাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে এসব কৃষকদের। মুলত আলু চাষে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত সারের। সার ডিলারদের নিকট তারা চাহিদা তলোনায় টিএসপি ও ফসফেট সার পাচ্ছে না। সার না পাওয়ায় এবং বেশি দাম ধরায় বিপাকে পড়ছে আলু চাষিদের। হিলির হরিহরপুর গ্রামের আলু চাষি ইমরান আলী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আমন ধান কাটার পর এই জমিতে আলুর চাষ শুরু করেছি। গতবারও ভাল ফলন পেয়েছি, এবারও ভাল ফলনের আশায় আলুর বীজ বপন করতে শুরু করেছি। আশা করছি আবহাওয়া ভাল থাকলে আলুর ভাল ফলন পাবো। তবে টিএসপি ও ফসফেট সারের সংকট দেখা দিচ্ছে এবং ডিলার ও ব্যবসায়ীরা ১১০০ বস্তা টিএসপি সারের দাম নিচ্ছে প্রায় ১৬০০ টাকা বস্তা। সার সরবরাহ ঠিক মত পেলে আলু চাষে আমরা আরও আগ্রহী হতাম। হরিহরপুর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক বলেন, আড়াই বিঘা জমির আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ। এই আড়াই বিঘাতেই আলুর চাষ করেছি, প্রয়োজনীয় সব সার দিয়ে মাটি তৈরি করে বীজ বপন করছি। কিন্তু সার ঠিক মতো পাচ্ছি না, যদিও পাচ্ছি তা আবার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। হিলির হরিহরপুর বাজারের সারের ডিলার মিজান বলেন, বর্তমান আমাদের এলাকায় আলু ও সরিষার মৌসুম চলছে। এসব ফসল ফলাতে কৃষকের প্রচুর সারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ১০ ভাগ সারও আমরা পাচ্ছি না। যার কারণে হয় তো কৃষকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। তবে আমরা কৃষকদের নিকট সারের মুল্য বেশি নিচ্ছি না। হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, আলুর চাষের জন্য হিলির তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৯ টি সারের ডিলার আছে। তাদের নিকট পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই। তবে যদি কোন সারের ডিলার অনিয়ম কিংবা দাম বেশি নেয়, তা প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com