বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এই রাষ্ট্রপতি ডাকাতদের ক্ষমা করেন, হত্যাকারীদের ক্ষমা করেন, ঘাতকদের ক্ষমা করেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্ষমা করেন’। সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যে ডিসি নির্যাতন করেছেন সেই সুলতানা পারভীনকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মৌন মিছিলের কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাধা দেয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে তারা সংক্ষিপ্তভাবে সমাবেশ করে। এই সরকারের কাছে বিরোধীদলতো নয়ই, যারা বিবেকবান সাংবাদিক সত্য কথা লেখে তাদের ওপর অত্যাচার নেমে আসে, তাদেরকে বিবস্ত্র করে অত্যাচার করা হয়। সেই রিগ্যানকে যারা অত্যাচার করেছে সেই ডিসি সুলতানা পারভীনের সব অপরাধ রাষ্ট্রপতি মাফ করে দিয়েছেন। এই রাষ্ট্রপতি ডাকাতদের ক্ষমা করেন, হত্যাকারীদের ক্ষমা করেন, ঘাতকদের ক্ষমা করেন। এই রাষ্ট্রপতি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্ষমা করেন।
তিনি বলেন, রিগ্যানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। তারা পুলিশও পায়নি। আনসার নিয়ে গিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় শারীরিক নির্যাতন করেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন, আইনের বাইরে কিছু করা যাবে না। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে আবার কারাগারে যেতে হবে, বাহ! আইনমন্ত্রী আপনি কোথা থেকে এই আইন পেয়েছেন? আপনি অসত্য কথা বলছেন, আপনি মিথ্যা কথা বলছেন। আপনি আপনার চাকরি ঠিক রাখার জন্য মিথ্যা বলছেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে নির্যাতন করার জন্য আপনি এ কথা বলছেন।
রিজভী বলেন, সোয়াশো বছর আগের প্রিজন অ্যাক্টের বিধান অনুযায়ী সরকার একজনকে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারে। সাজা মওকুফ করতে পারে। সবকিছু করতে পারে। আর যার মৃত্যুর ঝুঁকি আছে তার সবকিছু মাফ করে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে পারে। কিন্তু তাজ্জব ব্যাপার, আইনমন্ত্রী বলছেন তাকে বিদেশ যেতে হলে আবার কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। মিথ্যাবাদী এই আইনমন্ত্রী। প্রচলিত যে আইন আছে সেই আইনেই খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন। এ সময় আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আপনাদের নেতা মো: নাসিম যে কারাগারে থাকা অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য গেছেন সেটা কোন আইনে গেছেন।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সহ-সভাপতি জেবা আমিন খান, নেওয়াজ হালিমা আরলি, নিলুফার চৌধুরী মনি, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিয়া আলিম, সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার বেগম, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমেনা খাতুন, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়া, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আয়শা আক্তার হীরা, টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক মমতাজ বেগম প্রমুখ।