বদলে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বিডিবিএল। বর্তমানের এনালগ সিস্টেম আর থাকছে না। সবকিছু হবে অনলাইনে। সেবার মান এমন পর্যায়ে নেয়া হবে যাতে করে গ্রাহকরা অপেক্ষাকৃত কম পরিচিতির এই ব্যাংক থেকে সেবা নেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেন। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কর্র্র্র্তৃপক্ষ। এসব উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী আলমগীর। ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, ব্যাংকের সম্পদের কোনো অভাব না থাকলেও পরিচিতির অভাব রয়েছে। এ কারণে দেশের ১৫ টি জেলায় উপশাখা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকে ক্যাপিটাল শর্টফল থাকলেও বিডিবিএলে তা নেই। ২০১৮ সালের ঋণ নীতিমালা সহজ করা হচ্ছে; যাতে করে গ্রাহকদের কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। গ্রাহকদের সুবিধার্থে আগামী দু’মাসের মধ্যে ডেভিড কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহক যেকোনো ব্যাংকের এটিএম সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। দ্রুতই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সব ধরনের সেবা গ্রহণ করা যাবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বিডিবিএল। সবকিছুতে অটোমেশন চালু হলে দুর্নীতি কমে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আলমগীর। বিডিবিএলকে পর্যায়ক্রমে এক নম্বর ব্যাংকে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ-জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখায় গ্রাহক ও ঋণগ্রহীতাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী আলমগীর। সভায় ব্যাংক ম্যানেজার হরষিত কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন ব্যাংকের গ্রাহক সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার মহসিন আলী, খালেদুর রহমান চুন্নু ও সাবিহা সুলতানা। এ সময় ভবন মালিক শহীদুল ইসলামও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। গ্রাহকরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান ম্যানেজার যোগদান করে ব্যাংককে গ্রাহকমুখি করেছেন। তার সহযোগিতামূলক নানা কর্মকান্ডে গ্রাহকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। খালেদুর রহমান চুন্নু নামে এক গ্রাহক বলেন, তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের শুরু থেকে লেনদেন করতেন। একটি সময়ে তার পরিচিতজনের কাছ থেকে বিডিবিএলের কার্যক্রমের কথা শুনে এখানে এসে অপেক্ষাকৃত ভালো সেবা পাচ্ছেন বলে জানান। সাবিহা সুলতানা নামে আরেকজন গ্রাহক বলেন, তার বোন একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার। তিনি তাকে সেখানে লেনেদেনের কথা বলেন। কিন্তু যাচ্ছেন না। বিডিবিএলের সেবায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।