আমি কখনই মাদক সেবন বা বিক্রির সাথে জড়িত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শেরপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন, শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজয় চক্রবর্তী জয়। এসময় এক লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা সমাজের দর্পন, জাতীর বিবেক। গত ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে আমাকে মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা বলা হয়েছে। যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। প্রিয় কলম সৈনিক ভাইয়েরা আমি অজয় চক্রবর্তী জয় বিগত ১৯৯৬/৯৭ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচন ধর্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়ে আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়ীত্ব পালন করি। এরপর ধারাবাহিকতায় জেলার সর্বোচ্চ ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের ৪ বারের পরিচালকের দায়ীত্ব পালন করি। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি, শহর পূজা উদযাপন কমিটির বর্তমান সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, রোটারি ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক, জেলা ব্যাডমিন্টন উপ কমিটির সাধারন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করছি। কিন্তু আমি আওয়ামীলীগ তথা দলের একজন সক্রিয় কর্মী থাকা স্বর্তেও আমার বিরুদ্ধে যে খবর করা হয়েছে তা সম্পুর্নরুপে মিথা ও বানোয়াট। আপনারা জানেন বর্তমানে মাদকের ভয়াবহ ছোবল গ্রাস করছে উঠতি বয়সী তরুন ও যুবকদের। আমি এবং আমার দল সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও মাদকের বিরুদ্ধে অতীতে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করেছি। এসব কিছুর পরেও আমার বিরুদ্ধে ঢাকা টাইমসহ বিভিন্ন অনলাইন ও বেশ কিছু প্রিন্ট পত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নিতান্তই দুঃখজনক। আমি এই খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনারা কলম যোদ্ধা, আপনারা জাতীর বিবেক। আপনারা উপরোক্ত সব বিষয়ের সত্য উদঘাটন করে তা জাতীর কাছে তুলে ধরবেন। পাশাপাশি প্রকাশিত খবরের বিরুদ্ধে আমি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো। একই দিন ও স্থানে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মনির উদ্দিন আহমেদ বলেন,আপনারা সমাজের দর্পন, জাতীর বিবেক। গত ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকায় “রাজাকারপুত্র যখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে মনির আরও জানান, প্রিয় কলম সৈনিক ভাইয়েরা আমি মনির উদ্দিন আহাম্মেদ ১৯৯০ সালে এসএসসি পাশ করে কলেজে উঠে আমি আওয়ামীলীগ তথা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হই। সেসময় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। এরপর আমি তৎকালীন ছাত্রলীগ কলেজ কমিটির সাধারন সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করি। আমার বাবাও একজন মুজিব আদর্শে আদর্শিত ছিলেন। উনার সাথে বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন সাহেবের বাবা মরহুম নিজাম উদ্দিন মহোদয়ের চমৎকার সম্পর্ক ছিল। আমি একাধারে ইটভাটা সমিতির সাধারন সম্পাদক, রোটারি ক্লাবের দায়ীত্বে, চক্ষু হাসপাতাল সমিতির আজীবন সদস্য। অতীতে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নসহ বিভিন্ন নির্বাচনে আমাকে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে যে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি তা অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। কিন্তু আমি আওয়ামীলীগ তথা দলের একজন সক্রিয় কর্মী থাকা স্বর্তেও আমার বিরুদ্ধে যে খবর করা হয়েছে তা সম্পুর্নরুপে মিথা ও বানোয়াট। ওই খবরে আমার বাবাকে একজন রাজাকার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অথচ আমার বাবা সম্পর্কে সকল সত্য ঘটনা জানেন জেলার প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি ও সাংবাদিক আব্দুর রহিম বাদল। কর্মজীবনে আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়াও তিনি তৎকালীন সময়ে শেরপুর পৌরসভায় ইন্সপেক্টর পদে শুনামের সাথে চাকুরী করেছেন। এছাড়াও ওই খবরে যার প্রত্যয়ন দেখানো হয়েছে তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু। আমি উনার সাথে কথা বলেছি উনা আমাকে জানিয়েছেন আমার সাথে এরকম ঘটনা ঘটেনি। আমার সাক্ষর সেখানে জাল করা হয়েছে। এসব কিছুর পরেও আমার বিরুদ্ধে ঢাকা টাইমসহ বিভিন্ন অনলাইন ও বেশ কিছু প্রিন্ট পত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নিতান্তই দুঃখজনক। আমি এই খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনারা কলম যোদ্ধা, আপনারা জাতীর বিবেক। আপনারা উপরোক্ত সব বিষয়ের সত্য উদঘাটন করে তা জাতীর কাছে তুলে ধরবেন। পাশাপাশি প্রকাশিত খবরের বিরুদ্ধে আমি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো। এসময় অন্যানোদের মধ্যে শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম অপু, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, সেচ্ছাসেবক নেতা তারিফ তৌফিকুর রহমান, শ্রিবরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেরাজউদ্দিন চৌধুরি, সেচ্ছাসেবক নেতা আরাফাত হোসেন সনেট, সেচ্ছাসেবক নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ, সেচ্ছাসেবক নেতা রবিউল ইসলাম রতন, সেচ্ছাসেবক নেতা তনয় ঘোষ, সেচ্ছাসেবক নেতা মাহমুদুল হাসান সুজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।