জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদকে প্রত্যাহারের দাবিতে আজ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলার সাংবাদিকরা। জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ওই স্মারকলিপি প্রদান করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসানের কাছে। জামালপুরে সার্কিট হাউজে স্মারকলিপি প্রদানের সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবা প্রদান করা ছাড়া জনগনের সাথে অশোভন আচরণ করতে পারেন না। সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণকারী পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদকে জেলা থেকে প্রত্যাহার করতে স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পরে জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে সমাবেশ করেন। উল্লেখ, শুক্রবার রাতে পুনাক মেলা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করতে ডাকেন পুলিশ সুপার। ডাকে সারা দিতে না পারায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ধরে পিটিয়ে চামড়া তুলে ফেলা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকীদেন। অপরদিকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিপালিত হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। সেজন্য সাধারণ জনগণসহ সবার সঙ্গেই তাদের ভাষা ও ব্যবহারে মার্জিত, শোভন ও শালীন বোধ থাকা বাঞ্ছনীয়। সেবা দেওয়া ছাড়া তারা কারো সঙ্গেই কোনো অশোভন আচরণ করার অধিকার রাখেন না। এটা আমার কথা নয়, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জামালপুর সার্কিট হাউজে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে যে অশোভন আচরণ করেছেন, তা আমি বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছি। সাংবাদিক ভাইদের কাছ থেকেও বিস্তারিত শুনলাম। এ বিষয়ে আমি সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের ধরে এনে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকিদাতা পুলিশ সুপার মো. নাছির উদ্দীন আহমেদের প্রত্যাহারের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলনে নামেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা। আজ তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তার কাছে ওই পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে সমাবেশ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন সাংবাদিকরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে পুনাক মেলা সম্পর্কে অবহিত করতে সাংবাদিকদের মেলা প্রাঙ্গণে ডাকেন ওই পুলিশ সুপার। তার ডাকে সাড়া দিতে না পারায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ধরে পিটিয়ে চামড়া তোলা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকি দেন। তারপর থেকেই আন্দোলনে নামেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।