থাইরয়েড শরীরের এক বিশেষ গ্রন্থি। এটি স্বরযন্ত্রের দু’পাশে থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থি দেখতে প্রজাপতির মতো। থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ হলো শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা। শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে। থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম ও বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। হঠাৎ করে থাইরয়েডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া অনেকেই টের পান না। চলুন জেনে নেওয়া যাক থাইরয়েড বেড়ে বা কমে যাওয়ার কয়েকটি লক্ষণ-
>> সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঘুমঘুম ভাব থাকাটা বেশ স্বাভাবিক। তবে থাইরয়েড থাকলে সকালে সারা শরীরে একটা আরষ্টতা কাজ করে। শরীর খুবই ভারি লাগে। কোনো কাজ করতে মন চায় না। যদি নিয়মিত এরকম হয়, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। >> অল্পদিনের মধ্যে শরীরে হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়াও থাইরয়েডের লক্ষণ। দেখা যায়, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কিংবা শরীরচর্চার পরও এক্ষেত্রে ওজন বাড়তে পারে। >> থাইরয়েড বেড়ে গেলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। রুক্ষ্মভাবও দেখা যায়। এমনকি নখও ভঙ্গুর হয়ে যায় খুব জলদি। >> গলার সামনে দিকে মাঝখানে (যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে) কোনো ধরনের ফোলাভাব বুঝতে পারলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। >> নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনিয়মিত মাসিক। এক্ষেত্রে এক মাসে কয়েকবার মাসিক হতে পারে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় মাসিক একেবারেই বন্ধ হয়ে থাকে। >> থাইরয়েডের ফলে তাপমাত্রার প্রতি সহনশীলতা কমে যায়। তাপমাত্রা সামান্য কমলেই বেশি ঠান্ডা লাগে আবার সামান্য বেড়ে গেলেই আসহ্য গরম লাগে এবং অতিরিক্ত ঘাম হয়। >> প্রায়ই পেটখারাপ বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কিন্তু থাইরয়েডের লক্ষণ। তাই একটানা এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আসলে হাইপোথাইরয়েডের ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক দেখানো, ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা, ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা যায়। অন্যদিকে আর হাইপারথাইরয়েডে ওজন হঠাৎ করে কমে যায়। এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য, গরম সহ্য করতে না পারা, অবসাদ, ঋতুস্রাব কম হওয়ার মতো লক্ষণ প্রকট হয়। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস