খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন ডিজিটাল দেশ গড়া আওয়ামীলীলীগের নির্বাচনী ইস্তেহার ছিল। এই ইস্তেহার বাস্তবায়নে বাংলাদেশে সম্পূর্নভাবে ডিজিটালাইজড প্রক্রিয়া চালু হওয়ার ফলে দেশ উন্নয়নের চরম শিখরে পৌছে গেছে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন। রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ। এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আই সি টি শিহাব রায়হান। অন্যান্যের মধ্যে নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাদিয়া পারভীন বক্তব্য রাখেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে সরকারের সর্বস্তরে ই-সার্ভিস চালু হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমে গেছে। ডিজিটালাইজড পদ্ধতি সরকারের পুরো প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করেছে। এই পরিবর্তনের ইতিবাচক সুফল দেশের সকল মানুষ ভোগ করতে শুরু করেছেন। শহর থেকে সুদুর গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত সকল মানুষের দ্রোগোড়ায় ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে গেছে। তিনি তাঁর খাদ্য মন্ত্রনালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি মিলার এবং কৃষকদের নিকট থেকে ধান চাল ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে। এতে কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের হয়রানী এবং দুর্নীতি দুইই কমে গেছে। বিশেষ করে করোনা কালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও অনলাইন ভিত্তিক ক্লাশ পরিচালনার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সেশন জটের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। এটি ডিজিটাল পদ্ধতির একটি সাফল্য। তিনি আরও বলেছেন এই ডিজিটাল পদ্ধতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন চালু করতে যাচ্ছিলেন তখন অনেকেই এটিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিল। অথচ এখন তারাই এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। খাদ্যমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অনুপ্রেরনার বাতিঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং বেলুনসহ ফেষ্টুন উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।