বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হলেও এখনো বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, আজকে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে আমাদের দেশের ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল, দুই লক্ষ লাখ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছিল, তাদের প্রত্যাশা কি আমরা পূরণ করতে পেরেছি? গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর জুরাইনে জাতীয় পার্টির বিজয় সমাবেশ ও পতাকা মিছিলে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। জিএম কাদের বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে আমাদের বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। এটা বাঙালি জাতি মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা কি দেখছি, পশ্চিম পাকিস্তানি কায়দায় বৈষম্য কি শেষ হয়েছে? আমাদের দেশের বৈষম্য দূর হয় নাই।
তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতা হারানোর পর যতগুলো সরকার এসেছে, তারা দলীয়করণ করেছে। এখন নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়েও জাতীয় পার্টি বিভিন্ন বাধার মুখ পড়ছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এই যে ইউপি নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদের বাই ইলেকশন, এখানে অন্যরা অংশগ্রহণ করছে না, আমরা এই নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের প্রার্থীদের দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না, বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। জিএম কাদের বলেন, সিরাজগঞ্জে আমাদের প্রার্থীকে মারধর করে তার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি, আমাদের একজন প্রার্থীকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য।
তিনি বলেন, ধনী ও দরিদ্র্যের মধ্যে বৈষম্য হচ্ছে। আপনারা দেখেন এক শ্রেণীর মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় তৈরি করছে। আর এই দেশে দরিদ্র্য মানুষ না খেয়ে থাকে, বেকার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। বিদ্যুৎ গ্যাস, পানির বিল বাড়ানো হচ্ছে। কাজেই স্বাধীনতার জন্য এতগুলো মানুষ জীবন দিয়েছে, তার সুফল আমরা পাই নাই। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে দলের সভাপতিম-লীর সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল বক্তব্য রাখেন।