রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের নিচে নেমে গেছে চালের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি উপকূলের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি চিকিৎসা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরলেন আব্বাস ডিসি-ইউএনওদের দামি গাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় : অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন সরকারের ক্ষমতার পেরেক যেকোনো সময় ভেঙে যাবে : রিজভী কুমিল্লায় ডা. আবু নাঈমের বাগানের কচুরিপানা দর্শনার্থীকে বিমোহিত করে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানোর এজেন্ডা নেই: ওবায়দুল কাদের সরকারি চাকরি নিয়ে এখন সামাজিকমাধ্যমে ট্রল হয়: শিক্ষামন্ত্রী ত্রিভুজ-চতুর্ভুজ বাদ: নতুন কারিকুলামে ৭ ধাপে মূল্যায়ন, সবচেয়ে ভালো ‘অনন্য’ কুমিল্লার দৌলতপুরেই ১৬০টি গান ও ১২০টি কবিতা লিখেছেন কবি নজরুল

এ বছর রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে আমাদের ২৬ বিলিয়ন ডলারে রেমিটেন্স সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। এজন্য প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। প্রণোদনা দেয়ার আগে বৈধপথে মাত্র ৪৯ শতাংশ রেমিটেন্স দেশে আসত। আমরা চেষ্টা করছি, প্রবাসীরা যত টাকা আয় করেন, তার পুরোটাই যেন বৈধপথে আসে। এতে আমাদের কাছে প্রবাসী আয়ের একটা হিসাব থাকবে।’ গতকাল শনিবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা বাড়ালাম। আমি যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলাম সেসময় আমি নিজে স্টাডি করেছি। সেসময় আমাদের রেমিট্যান্স যা অর্জন করার কথা, আমরা ৪৯ শতাংশ অর্জন করতাম ফরমাল চ্যানেলে আর ইনফরমাল চ্যানেলে বাকিটা আসতো। আমি চিন্তা করলাম এটাকে ফরমাল চ্যানেলে আনলে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং সবাই এটার বেনিফিটটা পাবে। সেই চিন্তা থেকে আমরা প্রথম ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু করি। এরপর লক্ষ্য করলাম আমাদের যে উদ্দেশ্য সেটি সফল। আমাদের যে অ্যাভারেজ রেমিট্যান্স ছিল ১৪ শতাংশ, এই প্রণোদনা দেয়ার পর প্রথম বছরে রেমিট্যান্স বেড়ে হলো ১৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আমাদের রেমিট্যান্স আরো বেড়ে যায় এবং ২০২০-২১ সালে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এই অর্জন আমি মনে করি একদিকে আমরা সহজ করেছি এবং পাশাপাশি দুই শতাংশ প্রণোদনা কাজে লেগেছে। কারণ রেমিট্যান্স পাঠাতে একটি খরচ করতে হয় সেটি কাভার করতে পারছে।’
তিনি বলেন, ‘এই রেমিট্যান্সটা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক এলাকায় কত বড় ভূমিকা রাখে সেটি অর্থনীতিবিদরা বুঝবেন এবং তারা আমার সঙ্গে একমত পোষণ করবেন যে, এটি অসাধারণ ভালো কাজ হয়েছে।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন অসৎ ব্যবসায়ীরা ভিন্ন পথে টাকা পাচার করছেন এবং রেমিট্যান্স থেকে সেটা কাভার করা হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে টাকা পাচার হয় এটা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। আপনাদের (মিডিয়া) থেকে তথ্য নিয়েই আমরা ব্যবস্থা করছি। গত কয়েকদিন আগেও কয়েকটি মামলার রায় হয়েছে, অনেকেই জেলে আছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যেটি সম্ভব তা বাস্তবায়ন করছি। আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে কে দোষী বা নির্দোষ সেটি কীভাবে প্রমাণ করবো? আমার যে চিন্তা সেটি হলো এখন বিদেশে টাকা রাখলে কেউ সেই টাকার ওপর কোনো লাভ পাচ্ছে না বরং দেশে ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ দিতে হয়। এই টাকাগুলো আমাদের কষ্টার্জিত টাকা, আমাদের ভাইবোন যারা বিভিন্ন ব্যবসা ও পেশায় জড়িত তারাই এ অর্থটি পাঠায়। আমরা চাই এই অর্থ দেশের মানুষের কাজে আসুক। দেশের সরকারের কাছে আসুক। সরকার যদি এই অর্থটি সম্পর্কে জানতে পারে তাহলে সরকার অর্থবহভাবে এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।’অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইম্পোর্ট বাড়বে, ইম্পোর্ট বাড়া ভালো। ইম্পোর্ট বাড়লে এক্সপোর্টও বাড়বে। আমাদের এক্সপোর্টও বেড়েছে। আমরা যতই রফতানি করি তার সিংহ ভাগই ইম্পোর্ট খাতে চলে যায়। তবুও আমাদের এক্সপোর্ট বাড়াতে হবে, আমরা সেই কাজটি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কয়েকটি খাতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। এবং সেখানেও বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়ে থাকি। এগুলোর মূল কথাটা হলো একটু সাহায্য-সহযোগিতা করা। আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের টাকা যারা যেখান থেকে অর্জন করুক দেশে আসুক। দেশে আনার জন্য যা যা বাস্তবায়ন করা দরকার আমরা করবো।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির ফলে লাভবান হচ্ছেন মুষ্টিমেয় লোক, এমন একটি প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা এসডিজি অর্জন কিংবা উন্নত বিশ্বের কাতারে গিয়ে সাসটেইন করতে পারবো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ থেকে আমাদের যে স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানে কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন ছিল না। আমাদের ইকোনমিক যে ইনডেস্ক সেটি বিবেচনা করা হয়েছে এবং সেই বিবেচনায় আমাদের মাথাপিছু আয়সহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করেই আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য তারা বিবেচনা করেছে। আমি মনে করি, আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যপথেই আমরা আছি।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com