গত বুধবার (৫ জানুয়ারী), ২০২২ইং নান্দাইলের ১১ টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। শেরপুর, মোয়াজ্জেমপুর, নান্দাইল, গাংগাইল, মুশুল্লি, রাজগাতি, আচারগাও, সিংরইল, খারুয়া, জাহাঙ্গীরপুর এই ১০টি ইউপিতে ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে এবং চন্ডিপাশা ইউনিয়নে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। নান্দাইল উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় চেয়ারম্যান পদে ৬২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯৯ জন,সংরক্ষিত সাধারণ পদে ১৩৯ জন প্রার্থীসহ ১১ ইউপিতে মোট ৬ শত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১১০টি ভোট কেন্দ্রে ৬৯৬ স্থায়ী ও ০৮ টি অস্থায়ী সহ মোট ভোট কক্ষ ছিল ৭০৪ টি। ১৩৫৪২৮ জন পুরুষ ও ১২৮৯৮৬ জন মহিলা সহ মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৬৪৪১৬ জন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত ৫ জন যথাক্রমে মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূইয়া (শেরপুর), তাসলিমা আক্তার (মোয়াজ্জেমপুর), কামাল উদ্দিন (জাহাঙ্গীরপুর), কামরুল হাসনাত ভূঞা (খারুয়া), ইফতেখার উদ্দিন ভূঞা (মুশুল্লি)। মোটর সাইকেল প্রতীকে বিজয়ী ২ জন হলেন সাইফুল ইসলাম (সিংরইল) ও শাহাব উদ্দিন ভূঞা (চন্ডিপাশা)। আনারস প্রতীকে নির্বাচিত ৪ জন হলেন আসাদুজ্জামান নয়ন (গাংগাইল), , ইফতেখার মমতাজ (রাজগাতি), রফিকুল ইসলাম রেনু (আচারগাও) এবং মোশাররফ হোসেন (নান্দাইল)। নান্দাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “আমরা আগাম সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছিলাম বিধায় সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রে ভোটগননায় কারচুপি, বিলম্বে ফল প্রকাশ, পক্কপাতিত্য, ভোটগননার সময় পরাজিত প্রার্থীর এজেন্টকে বের করে দেওয়া ইত্যাদি কারনে পরাজিত প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে অসন্তুষ বিরাজ করায় উপজেলার কিছু এলাকায় গত দু’দিন ধরে ছোটখাট সহিংসতা চলমান।