শরণখোলায় কথিত ৭০ বাঘ হত্যাকারী হাবিব জেল হাজতে থেকে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। হাবিব মুক্তি পাওয়ায় শংকিত রয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সুন্দরবন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। শরণখোলা সুন্দরবন সুরক্ষা বিষয়ক সিপিজি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের কদম আলী তালুকদারের পুত্র হাবিব এলাকায় বাঘ হাবিব হিসেবে পরিচিত। গত বছরের ২৮ মে শরণখোলা থানা পুলিশ হাবিবকে গ্রেফতার করে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠায়। গত ২৩ নভেম্বর,২১ বাঘ হাবিব জেল হাজত থেকে জামিন বের হয়ে আসে। সে আবার সুন্দরবনে বাঘ শিকারে যেতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন বলে সিপিজি সদস্য খলিল জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, ছোটবেলা থেকে সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী হাবিব তালুকদার এক সময় হরিণসহ বণ্যপ্রাণী হত্যায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে এলাকার মানুষ তাকে বাঘ হাবিব বলে ডাকতে থাকে। কথিত বাঘ হত্যাকারী হাবিব জানান, তার বিরুদ্ধে ৭০টি বাঘ হত্যার কাহিনী ষড়যন্ত্রমূলক। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কত প্রশ্ন করে একটা মানুষ সত্তরটি বাঘ মারতে পারে কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে হাবিব দাবী জানান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৮টি বিচারাধীন মামলায় মসে ৮/১০ দিন আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হয় জানিয়ে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় বলে হাবিব সাংবাদিকদের জানান। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা আঃ মান্নান ইত্তেফাককে জানান, বাঘ হাবিব জামিনে বেরিয়ে আসার পরে তার গতিবিধির প্রতি বন বিভাগের নজরদারী রয়েছে। বাঘ হাবিবের বিরুদ্ধে বর্তমানে বনবিভাগে ৬টি হরিণ ও ২টি বাঘ শিকারের মামলা রয়েছে বলে ঐ ষ্টেশন কর্মকর্তা জানান।