সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ চার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিল চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে নীলক্ষেত এলাকার যানচলাচল।
আন্দোলনকারীদের ৪ দফা দাবি হলো- সব চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে, নিয়ােগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে, নিয়ােগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফল প্রকাশ করতে হবে, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে ও একই সময়ে একাধিক নিয়ােগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়ােগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে পুলিশের লাঠিচার্জের পর আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধি, নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ করা, সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা চালুসহ চার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তারা। হঠাৎ তাদের অবরোধের ফলে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল। এ অবস্থায় কয়েক দফা অনুরোধের পরও আন্দোলনকারীরা রাস্তা না ছাড়লে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধের ফলে চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নীলক্ষেত ও আজিমপুর থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদেরকে পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়।
মূলত জনভোগান্তির কথা চিন্তা করেই আন্দোলনকারীদের সরানো হয়েছে বলে জানান নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান। তিনি বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই আমরা তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি আমরা যথাযথ জায়গায় জানিয়েছি। এটি আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়।গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধের ফলে চারপাশে ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ে। তাই পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। এছাড়া এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।