দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলেও এবার কৃষক আমনের ভালো দাম পেয়েছে। সে কারণে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা। এদিকে সকালের শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা অবধি বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ বা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল মারা কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। কেউ আবার চারা রোপন রেখে খেতের আইলে বসে দুপুরে খাবার খেয়ে নিচ্ছেন।কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ কিংবা পাম্পের বা শ্যালো মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউ বা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন খেত। ঘাটাইল উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১২ হাজার ৪৯০ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর। অন্যান্য বছর কোল্ড ইনজুরিতে পচন লেগে বীজ চারা নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো চারাও বেশ ভালো হয়েছে। উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নর আমজাদ মিয়া বলেন, গত মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় এবছর আরো দুই একর জমি বেশি আবাদ করেছি। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দিলশাদ জাহান বলেন, উপজেলায় বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার গড় সর্বনি¤œ ১৫ এবং সর্বোচ্চ ২৫ বিরাজ করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবং গভীর নলকূপগুলো সচল হলে খুব শিগগিরই বোরো ধান রোপণ শেষ হবে এবং আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি আরো বলেন কেউ যাতে সিন্ডিকেট করে স্যারের দাম বাড়াতে না পারে সে দিকে আমি ও আমার সকল অফিসার ও উপজেলা প্রশাসন নজর রাখছি।