সরকারের মেগা প্রকল্পগুলির মধ্যে মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ অন্যতম। মাতারবাড়ীর সীমানার দুপ্রান্তে দুটি প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্প। তৎমধ্যে দক্ষিণ পার্শ্বের প্রকল্পের অবকাঠামোর কাজ শেষের দিকে হলেও উত্তর দিকে ১২১২ একর সিঙ্গারপুর প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির চার পার্শ্বে টেঁকসই বেড়িবাঁধ দিয়ে কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকলেও স্থানীয় চেয়ারম্যানের ইন্ধনে উক্ত প্রকল্পের বেড়িবাঁধটি রাতের অন্ধকারে কেটেছে প্রভাবশালীরা। তবে এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো অঞ্চল। এতে কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেছে অনেকেই। অনুসন্ধনে জানা যায়, সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে উপজেলার মাতারবাড়ী সরকারের অধিগ্রহনকৃত সিঙ্গাপুর প্রকল্পের বাঁধ সংলগ্ন ফার্মঘোনা ও ১৮ ধোন্ন্যা ঘোনা দখল নিতে মাতারবাড়ি কোলপাওয়াররে কতিপয় কয়েকজন কর্মকর্তাকে মোটা অংকের ম্যানেজ করে স্থানীয় কয়েকজন দাপটু লোকজন মিলে স্কেভেটার দিয়ে বাঁধ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে হন্দারাবিল, পূর্বপাড়া, বানিয়াকাটা ও উত্তর সিকদার পাড়ার কয়েক হাজার পরিবার। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, বাঁধ কেটে দেওয়ায় জোয়ার বা সামান্য বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে প্লাবিত হবে মানুষের বসত বাড়ি। মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে লবণ ও চিংড়ী চাষ করিতে সঙ্গবদ্ধ সিন্ডিকেটের যোগসাজসে ওই বেড়িবাঁধটি কেটে ফেলে এলাকার বাসীকে আতঙ্কে রেখেছে বলে এমন অভিযোগ তাদের। তাই দ্র“ত কাটা বাঁধটি বেঁধে দেওয়ার জোর দাবী জানান তাঁরা। পূর্ব পাড়া হন্দারাবিলের বাসিন্দা মকসুদ আহমদ জানান, কয়েক বছর ধরে বাঁধটি সংরক্ষিত থাকায় বর্ষামৌসুমে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। তবে এবারে বাঁধটি কেটে দেওয়ায় পুরা এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাউছার সিকদার, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ফার্মঘোনা ও ১৮ ধোন্নাই চিংড়ি প্রজেক্টটি বেশ কয়েকবছর ধরে আমি পরিচালনা করে আসতেছি। হঠাৎ করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি চিংড়ি ঘেরটি দখল নেওয়ার জন্য কোলপাওয়ারের নাম বিক্রি রাতের অন্ধকারে বেড়িবাঁধটি কেটে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হ”িছ আমরাসহ সিকদার পাড়া, হন্দারবিল ও বানিয়াকাটার কয়েকহাজার পরিবার বর্ষাকালে প্লাবিত হয়ে জনজীবনে চরম দুর্ভোগে পরিনিত হবে। মাতারবাড়ি কোল পাওয়ার নিরাপত্তা প্রধান কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমি শুনেই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।