শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

অভিযোগ :কালীগঞ্জের ইটভাটা পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী

হুমায়ুন কবির (কালীগঞ্জ) ঝিনাইদহ :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মাঠে জেকে ব্রিকস নামে একটি ইটের ভাটা গড়ে উঠেছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯)-এর ৪ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা চালানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে দুই বছর কারাদ-ের বিধান রয়েছে। এ ছাড়াও ইটভাটা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআই, স্থানীয় ভূমি অফিসসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কাগজে-কলমে এমন নিয়ম থাকলেও তা মানতে নারাজ অসাধু জেকে ইটভাটা মালিক জয়নাল হোসেন। প্রশাসনের কঠোরতার অভাবকে পুঁজি করে ‘অবৈধ’ এই ইটভাটায় তিনি ইট তৈরীর কাজ করে যাচ্ছেন। তার ভাটার অত্যাবশকীয় কোনো বিভাগের নেই ছাড়পত্র; তিনি মানছেন না আইনও। সুস্থ পরিবেশের জন্য অত্র এলাকায় গড়ে ওঠা ইটভাটাটি এখন ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় জনগণের নিকট। জয়নাল হোসেনের ভাটায় ইট নির্মাণে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি ও নষ্ট হচ্ছে হচ্ছে। পাশাপাশি জ্বালানি হিসাবে কয়লার ব্যবহারের কথা হলেও সরোজমিনে সেখানে গিয়ে কয়লার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং লক্ষ করা যায়, বিভিন্ন গাছের ডাল, বাশের মোথা,খেজুর গাছ এর পালা।ইট পোড়াতে এভাবেই নিধন করা হচ্ছে অসংখ্য গাছপালা। এছাড়া ইট পোড়াতে কাঠের ব্যবহার করায় সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক বায়ুদূষণ। জেকে ব্রিকস এ কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান,এই ভাটায় শুরু থেকেই কয়লার পরিবর্তে খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ করা হয়।কারণ জানতে চাই তারা বলেন,কয়লার দাম নাকি বেশি, তাই মালিক খড়ি দিয়েই কাজ সারে। জেকে ব্রিকস এর মালিক জয়নাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ইটভাটার ব্যাবসা করার জন্য যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন তার সবই আমার আছে।নিয়মবহির্ভূতভাবে কয়লার পরিবর্তে আপনি ইট পোড়ানোর কাজে ঘড়ির ব্যবহার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে রাগান্বিত হয়ে তিনি বলেন, সব ভাটায় খড়ি ব্যাবহার আছে। তাহলে আমাকে নিয়ে কেনো শুধু লিখবেন। কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাবিবউল্লাহ জানান, ইটভাটাগুলোতে প্রায় সময়ই দেখা যায় আইনের বাইরে গিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করতে। কালীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ইটভাটাগুলোতে যদি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ব্যাবসা পরিচালনা করা হয়,তাহলে অবশ্যই সরজমিনে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ওই ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। শুধু একজনই নয় বরং কোনো ইটভাটা মালিককে বেআইনিভাবে তার ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া হবে না।তাছাড়া এখন থেকে আমরা এই উপজেলার ইটভাটাগুলোতে আমাদের নজরদারি বাড়াবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com