বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইনের মাধ্যমে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আজকে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, জনগণকে যদি ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হয়, তাহলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান আইনে সেই ব্যবস্থা নাই।’ গতকাল মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে যারা সার্চ কমিটিতে আছেন, তারা তাদের সম্পত্তির হিসাব দেন নাই। তাহলে তাদের প্রতি আস্থা থাকবে কী করে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সত্যিকারের সাহসী ও সজ্জন ব্যক্তিকে দিলে হয়তো নির্বাচন কিছুটা সুষ্ঠু হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে তিন জন বিচারপতিকে সার্চ কমিটিতে রাখা হয়েছে। একটা সার্চ কমিটিতে তিন জন বিচারপতির প্রয়োজন আছে কিনা? এই প্রশ্ন তাদের নিজেদের মনে ওঠা প্রয়োজন ছিল। এটা অশোভনীয়, এটা হয় না। দেশ যখন নৈরাজ্যে ভোগে, ন্যায়নীতি কারও মনে থাকে না।’ নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালনে যোগ্য মনে করেন এমন কয়েকটি নাম উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল কমিশন হিসেবে নাম এখনও মনস্থির করেনি। বিএনপি বলেছে, নাম দেবে না। তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন। ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, যিনি আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তাকে চিফ ইলেকশন কমিশনার করা হলে, উনি পথঘাট চেনেন। উনার সঙ্গে আমাদের সাবেক সেনাপতি ইকবাল করিম ভূঁইয়া, একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। এছাড়া বিচারপতি নাজমুন আরা, সুলতানা কামাল এ জাতীয় লোক আরও নিশ্চয়ই আছে।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকার করুন, আর সর্বদলীয় সরকারই করুন, তাদেরকে দুবছর সময় দিতে হবে। তাহলেই সংবিধানে যে কতগুলো ত্রুটি আছে, সেগুলো সংশোধন হবে।’ আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।