মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় আম গাছের ডালে ডালে ফুটেছে আমের মুকুল। আর সেই মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। এলাকার সর্বত্র শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তোলে। উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের বাংলোর পাশজুড়ে দেখা যায় রকমারি আমের গাছ। আর গাছের ডালে ডালে ফুটেছে আমের মুকুল। শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোন ইউনিয়ন ও সিন্দুরখান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাড়ীর আনাচে-কানাচে এমন কোন আমগাছ নেই যে গাছে গাছে মুকুল দেখা যায়না। আম গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে শ্রীমঙ্গলের সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তেরর আগমনী বার্তা। ইতোমধ্যেই আমের মুকুলে বাতাসে ম ম গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে চারিদিক। বর্তমানে আম চাষি ও বাগান মালিকরা বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্চা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময়কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন আম চাষিরা। শ্রীমঙ্গল উপজেলার নার্সারি মালিকরা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে তাদের নার্সারী ও বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের পরিচর্যা করছেন। মুকুলের বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করছেন। বাগান মালিক ও আম চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরণের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে।