৫ মার্চ শনিবার সুইহারী মির্জাপুর বাসটার্মিনাল রোডস্থ এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হ্যালথ্ এর প্রশিক্ষন কেন্দ্রে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে সেফটি এন্ড রাইটস ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাজেট জনঅংশগ্রহণ ও স্থানীয় চাহিদা নিরুপনের লক্ষ্যে ফলোআপ ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন দিনাজপুর জেলা শাখার আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সুচনা বক্তব্য রাখেন বাজেট আন্দোলন দিনাজপুর জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য সহিদুল ইসলাম শহিদুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব ডাঃ চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী। জাতীয় বাজেট প্রণোয়ন প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থানীয় সরকারের বাজেট এবং পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সংস্থা ও নেটওয়ার্ক এবং নাগরিক সমাজের উদ্যোগকে শক্তিশালী করাকে সামনে রেখে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন ঢাকা হতে আগত মোঃ শহিদুল্লাহ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ আহাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুদ্দিন আখতার, রবিউল আউয়াল খোকা, মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, মোস্তফা কামাল, আজাহারুল ইসলাম জুয়েল, একেএম মেহেরুল্লাহ বাদল, কাশী কুমার দাস, অদিতি রায়, অমৃত রায়, সুবর্ণা, আব্দুল্লাহ আবু সায়েদ ও ফয়সাল হাবিব সুমন। বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী সদস্য হিসেবে তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন হারুন-উর-রশিদ হিমেল। ওয়ার্কসপে দিনব্যাপী জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেটের পরিচালিত প্রক্রিয়া, আইনী কাঠামো ও দূর্বলতা, উন্নয়ন ও অর্থনীতির বর্তমান ধারা ও কোভিড পরবর্তী জাতীয় অগ্রাধিকার, স্থানীয় উন্নয়ন ও অর্থনীতির বর্তমান হাল ও নাগরিকদের অগ্রাধিকার ও জেলা ভিত্তিক-ইস্যুভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরী করা হয়। বক্তারা বলেন, বাজেট হবে গণতান্ত্রিক ও গণমুখী। যা তৃণমূল পর্যায়ে সরাসরি জনগণের মতামত নিয়ে জাতীয় বাজেট তৈরী করার কথা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা হয় না। সাধারন মানুষের করের টাকা নিয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক বাজেট হয়ে আসছে। আমরা চাই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে এবং জেলায় জেলায় চাহিদা নিরুপনের লক্ষ্যে বাজেট তৈরী হউক এবং তা বাস্তবায়ন করতে হলে যুগ যুগ ধরে হয়ে আসা সনাতনী বাজেট প্রক্রিয়া পদ্ধতি বদলাতে হবে।