বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তা স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।আগামীকাল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের আপিলের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
এর আগে টুকু ও দুলুর প্রার্থিতা গ্রহণের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইসির আইনজীবী এ আবেদন করেন।
এর আগে গত সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের প্রার্থিতা গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ছাড়া আদেশে হাইকোর্ট বলেছিলেন, এ দুজনের আসনে তাদের দলের যদি অন্য কোনো প্রার্থী থাকে এবং তারা যদি প্রত্যাহার করতে চান সেটিও গ্রহণ করতে হবে।
আদালতের ওই সিদ্ধান্তের ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে যে বাধা ছিল তা কাটে। ইসির আবেদনের পর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানির পর জানা যাবে বিএনপির এই দুই নেতা ভোটে দাঁড়াতে পারবেন কি পারবেন না।
একাদশ জাতীয় সংসদে সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচন করতে চাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও ব্যর্থ হন টুকু। পরে হাইকোর্টে গিয়ে নিজের প্রার্থিতা ফেরত পান।
একইভাবে হাইকোর্টে গিয়ে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন নাটোর-২ আসন থেকে নির্বাচন করতে চাওয়া বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
দুলুর আইনজীবী জানান, যে মামলায় তার মক্কেলের দণ্ডের কথা বলা হয়েছে, সে মামলায় তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত রয়েছে।
তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তার করা আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই দণ্ড-সাজা স্থগিত করা হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগেও যায়নি।
ওই আইনজীবী আরও জানান, এমনকি যে মামলায় তার সাজা হয়েছে, তা বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দণ্ডবিধিতে হয়েছে। এটি নৈতিক স্খলনের মধ্যে পড়ে না। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।
খবরপত্র/এমআই