শতবছরের অনুরণে, যুক্ত হব মুক্ত প্রাণে—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খঞ্জনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শতবর্ষ বিদ্যাপীঠ। শতবর্ষ পুর্তি উদযাপন উপলক্ষে পূর্নমিলনী ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাকির হোসেন (এমপি) প্রতিমন্ত্রী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় হিসেবে উপস্থিত থেকে গত ১৯ মার্চ বেলা ১১ টায় খঞ্জনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সার্বিক তত্বাবধায়নে শহিদুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে এ গৌরব ইতিহাসের শতবর্ষ অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেখ আব্দুল্লাহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুজাহিদুল ইসলাম উপ-পরিচালক রংপুর বিভাগীয় শিক্ষা অধিদপ্তর, আল ইমরান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শহিদুল ইসলাম জেলা শিক্ষা অফিসার কুড়িগ্রাম, প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ¦ আব্দুল কাদের সরকার চেয়ারম্যান বন্দবেড় ইউপি, আনিছুর রহমান রূপালী ব্যাংক ঢাকা বিভাগ, বদরুল ইসলাম এজিএম সোনালী ব্যাংক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম খঞ্জনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশরাফুল ইসলাম আরিফ ছাত্র ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, আব্দুল খালেক ছাত্র ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, এড. বিপ্লব হাসান পলাশ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ, আমজাদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক জেলা আইন সমিতি কুড়িগ্রাম, আবু হানিফ পরিচালক সিএসডিকে, নাজমুল করিম সহকারি শিক্ষা অফিসার রৌমারী, আব্দুল সবুর ফারুকী অধ্যাপক রাজিবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ। প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, এই মাসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতিয় শিশু দিবস। এই শিশুদেরকে শেখ মুজিবুর রহমান খুব ভালোবাসতেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ছাত্রই বর্তমানে দেশের অনেক বড়বড় অফিসার হয়ে আছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের যারা ছাত্রছাত্রী রয়েছো তোমরাও আগামী দিনের ভবিষ্যত। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের রূপকার এবং শিক্ষা অনুরাগি হিসাবে সারা দেশে প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় ৩-৪ ও ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনের ব্যবস্থা করছেন। জাতে শিক্ষার্থীরা ভালো ভাবে আরাম আয়েশে শিক্ষা নিতে পারে। এজন্য প্রতিটি বিদ্যালয় ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল করে দিচ্ছে। তবে শিক্ষকদের সরকার এতো সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে তারপরেও কেন ছাত্রছাত্রীদের ভালভাবে পড়াশুনা হচ্ছে না। কেনই বা সকল ছাত্রছাত্রী প্রাইভেট স্কুলের দিকে মনোযোগ হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা ভালভাবে পড়াশোনা করান। তা না হলে আপনারা বেতন হালান হবে না। লান্নতে পড়বেন। শতবর্ষ পুর্তি অনুষ্ঠান শেষে উক্ত প্রতিষ্ঠানে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, রাজিব আহমেদ মুরাদ শিক্ষার্থী দানেশ বিশ^বিদ্যালয়।