“দেশে অনেক প্রধানমন্ত্রী পাবেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো জনদরদী প্রধানমন্ত্রী আর পাবেন না”। মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকারের অন্যতম চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও ২৭ ধরণের ঔষধ বিনামূল্যে রোগীদের বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে এলাকার কৃতি সন্তান লোকমান হোসেন মিয়া স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত থেকে দেশের চিকিৎসক ও নার্সবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমে বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। যা উন্নত বিশে^র দেশগুলোও করতে পারেনি। করোনার টিকা প্রদানে বাংলাদেশ এশিয়ার প্রথম এবং বিশে^ দশম স্থানে রয়েছে। ৯৬ সালে আমি জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ থাকা অবস্থায় এলাকায় ৮শ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। তাই দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে পুণরায় ক্ষমতায় নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, জাতির পিতার ভাগ্নে আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ -এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে মঙ্গলবার সকালে সরকারী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ মাঠে বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা ও ছানি অপারেশন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ন্যশনাল আই কেয়ার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের আয়োজনে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ন্যশনাল আই কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া। স্বাস্থ্য সচিব তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং নির্দেশনায় দেশে ২২ কোটি ২৩ লাখ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। এখনো দেশে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ডোজ টিকা প্রদানের জন্য মজুদ রয়েছে। দেশে টিকার কোন অভাব হবে না। দ্বিতীয় ডোজের চার মাস পরে বুষ্টার ডোজ টিকা দেয়া যাবে জানিয়ে চিকিৎসা সেবার মান আরও উন্নত করতে বরিশাল মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করার কথা জানান তিনি। সারা দেশে চক্ষু রোগীদের জন্য ১৪০টি ভিশন সেন্টার করা হচ্ছে। এই ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে সারা বছর চক্ষু রোগীদের বিনা মূল্যে সেবা প্রদান করা হবে। দশ হাজার চক্ষু রোগীর লক্ষমাত্রা নিয়ে চক্ষু চিকিৎসা সেবা ও ছানি অপারেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলেও এর বেশী যতো রোগী আসবে সবার জন্য চিকিৎসা প্রদান, চশমা, খাদ্য প্রদান করা হবে। ২৩ মার্চ রোগী বাছাই শেষে ওই দিন প্রয়োজনীয় রোগীদের চক্ষু অপারেশন করা হবে। এই ক্যাম্পে ৬০জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১০৫জনের একটি দল চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন জানিয়ে সকলকে সহযোগীতার আহ্বান জানান তিনি। আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান, বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাহী সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. খায়রুল বাশার, স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিব সাইদুল ইসলাম ভূঁইয়া, বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান, গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, পৌর মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ^াস, আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রধান ডা. বখতিয়ার আল মামুন, আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।