এ লড়াই জেতা যাবে না। রাশিয়াকে ‘যুদ্ধ’ শেষের পরামর্শ জাতিসঙ্ঘ প্রধানের। রাশিয়া অবশ্য এখনো একে ‘যুদ্ধ’ মানতে নারাজ। আবারো সরব হলেন জাতিসঙ্ঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, এই ‘যুদ্ধ’ কেউ জিততে পারবে না। রাশিয়ার উচিত এবার লড়াই বন্ধ করা। তার কথায়, মারিউপল যদি রাশিয়া জিতেও নেয়, তাহলেও ইউক্রেনের শহরের পর শহর, রাস্তার পর রাস্তা রাশিয়া দখল করতে পারবে না। এ এক অযৌক্তিক লড়াই চলছে।
জাতিসঙ্ঘের প্রধানের বক্তব্য, এ লড়াই চলতে থাকার অর্থ, সাধারণ মানুষের আরো বেশি দুর্ভোগ, আরো প্রাণহানি, আরো ভয়াবহতা। রাশিয়াকে লড়াই থামানোর পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি গুতেরেস জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনা চলছে, তা আগের চেয়ে ফলপ্রসূ হয়েছে, কথা এগোচ্ছে।
যুদ্ধই নয়: গুতেরেস যখন যুদ্ধ থামানোর কথা বলছেন, তখন সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একে যুদ্ধ বলতেই রাজি হলেন না ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
তার বক্তব্য, কেউই ভাবেননি ইউক্রেনে রাশিয়ার স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন কয়েক দিনেই শেষ হয়ে যাবে। সময় হাতে নিয়েই রাশিয়া এ কাজে নেমেছে। একই সাথে তার বক্তব্য, রাশিয়া কখনোই একে যুদ্ধ হিসেবে দেখছে না। যদি যুদ্ধ হয় এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা যদি বিঘিœত হয়, তাহলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে এদিন সতর্ক করেছেন পেসকভ। তবে রাশিয়ার এই ‘স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন’ কবে শেষ হবে, তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি ক্রেমলিনের মুখপাত্র।
জেলেনস্কির বক্তব্য: তিন সপ্তাহ পরেও তীব্র লড়াই চলছে ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপলে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, মারিউপল শহরে আর কিছু বেঁচে নেই। দীর্ঘ লড়াইয়ে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো সেখানে অন্তত লাখখানেক সাধারণ মানুষ আটকে আছেন বলে তার অভিযোগ। ভেঙে যাওয়া থিয়েটারে এখনো সাধারণ মানুষ ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মারিউপলে কোনো খাবার পানি নেই। এই পরিস্থিতিতে ফের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার দাবি থেকে তিনি কিছুটা সরে আসতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, রাশিয়া যে শর্তগুলো সামনে রেখেছে, তার মধ্যে অন্তত একটি নিয়ে ইউক্রেন খানিকটা আপস করতে তৈরি বলে এদিন আবার ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলেনস্কি। সূত্র : ডয়চে ভেলে