নরসিংদীর রায়পুরায় অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রা ও মানবপাচার প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে সাম্প্রতিক ভুমধ্যসাগরে স্পিডবোট ডুবিতে নরসিংদীর নিখোঁজ স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে নাগরিক সচেতনতা মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভুমধ্যসাগরে ইউরোপ যাওয়ার পথে রায়পুরা উপজেলার নিখোঁজদের স্বজনদের সাথে সরাসরি কথা বলেন তিনি। আমিরগঞ্জ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল কাদির এর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজিজুর রহমান, নরসিংদী গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল বাশার, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ, হাসনাবাদ বাজার কমিটির সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক মিঠু সহ বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যানবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার পথে নরসিংদী জেলার ১৫ জন নিখোঁজ হয় যার মধ্যে রায়পুরা উপজেলারই ছিলো ৯জন। ঘটনার প্রতক্ষ্য স্বাক্ষী ডুবে যাওয়া স্পিড বোট থেকে বেঁচে ফিরে এসে পরিবার ও গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে লোমহর্ষক সব ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের ইউসুফ মৃধা। এছাড়াও অবৈধ পথে ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে মানব পাচার করার অভিযোগে নিখোঁজদের পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৬ মার্চ রায়পুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পরদিনই মানব পাচার চক্রের সাথে জড়িত রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার মামুন মোল্লা ও সুবল চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করে নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকেই রায়পুরা থেকে ইতালী পাঠানোর মুল দালাল ও মানব পাচার কারীর মুল হোতা তারেক মোল্লা পালিয়ে বেড়ায়। পালিয়ে বেড়ানোর পর থেকেই তারেক মোল্লার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত রোববার তারেক মোল্লাকে বাগের হাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়। সোমবার সকালে তারেক মোল্লাকে গ্রেফতারের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম। এ নিয়ে মানব পাচারে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, লিবিয়া থেকে মানব পাচারকারীর প্রধান মনির চন্দ্র শীল ও বাংলাদেশে তার মুল প্রতিনিধি এই তারেক মোল্লার কারনেই আজ নরসিংদীর ১৫ যুবক নিখোঁজ হয়।