শেরপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিত ২৪ জন বাবা-মাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সহযোগিতায় জেলায় প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কার্যালয়ের রজনীগন্ধায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, নালিতাবাড়ীর পৌর মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, শ্রীবরদী পৌর মেয়র মোহাম্মদ আলী লাল, লালন গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদেল মান্নান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সুধাময় দাস, নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম জিন্নত আলী, আমিনুল ইসলাম, আবুল মনসুর, নজরুল ইসলাম ও আমেজ উদ্দিন, সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু। অনুভূতি ব্যক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের পিতা-মাতাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হলো এজন্য আজ আমরা শেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডকে ধন্যবাদ জানাই। জেলা প্রশাসক মো.মোমিনুর রশীদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের জীবিত পিতা-মাতাকে সম্মান করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যেসকল পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন। সেসকল পিতা-মাতাকে আমরা সম্মান জানাই। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মুক্তিযোদ্ধাদের বাবা-মায়েদের চিকিৎসার জন্য হেলথ কার্ড ও তাদের আবাসনের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিত ২০ জন মা ও ৪ জন বাবার হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী হিসেবে শাড়ি, পাঞ্জাবি, জায়নামাজ, টুপি, তসবিহসহ কাপড়-চোপড় তুলে দেওয়া হয়। সংবর্ধনা ও সম্মাননা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।