জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলো স্বাধীনতার একটা দিক। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের স্বাধীনতাই থাকে না। ভোটের দিন কেন্দ্র দখল ঠেকাতে ফজরের নামাজ পড়ে ভোটকেন্দ্র সারাদিন পাহারা দিতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য টিকবে না। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এখনো লেভেল প্লেইন ফিল্ড সৃষ্টি হয়নি। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অতীতে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা বড় বড় বিজয় অর্জন করেছি। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে এবারও মানুষ সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ তার নিজের ভোট পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারলে সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের মালিক যে জনগণ সেটা থাকে না। জনগণের মালিকানা না থাকলে স্বাধীনতা থাকে না। স্বাধীনতার লক্ষ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন।
ড. কামাল বলেন, প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত নয়। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকবো। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৩০ তারিখ সকালে আপনারা ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন। দুই নম্বরি করতে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাবো আমরা।
এ সময় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএডডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটিরর সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিলেটে আসায় দুপুরের আগেই মাজার এলাকায় জড়ো হন বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শরীক বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। মাজারের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মানুষের ভিড়ের কারণে ড. কামাল হোসেন মাজারে যেতে পারেননি। তিনি মাজারের সামনের মাঠে চেয়ারে বসে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।
খবরপত্র/এমআই