পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাষ্ট্রদ্রোহের বিচার চেয়ে উল্টো ফাঁসলেন ইকবাল হায়দার নামের এক আইনজীবী। ইকবালের করা ইমরান খানের ‘বড় ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহের বিচারকাজ শুরু’ বিষয়ক একটি আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে এক লাখ রুপি জরিমানা করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি আবেদন খারিজ করে এই জরিমানা করেন। এ সময় ইমরান খানের নাম দেশত্যাগের নিষিদ্ধ তালিকায় (ইসিএল) রাখার যে আবেদন করা হয়েছিল তাও প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেন এ বিষয়টিকে রাজনীতির রং দেয়ার চেষ্টা করছেন? এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আবেদন শুনানির শুরুতে নিজের পক্ষে প্রামাণ দিয়ে পিটিশনকারী ইকবাল হায়দার বলেন, বিরোধী দলগুলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করেন। ইমরান খান শুরুতে নীরব ছিলেন। পরে চিঠি দেখিয়ে তিনি বলেন, তার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ইকবাল হায়দার ওই চিঠি ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের পাঠানো কূটনৈতিক তারবার্তার বিষয়বস্তু তদন্তের আবেদন করেন।
তবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট পিটিশনটি ‘ফালতু’ আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত বলেন, কূটনীতিক তারবার্তাকে ‘বিতর্কিত’ করার চেষ্টা করেছেন আবেদনকারী। এ জন্য তাকে এক লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহের মতো একটি কথাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। কোনো নাগরিক নিজেকে আরেকজনের চেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক দাবি করতে পারেন না। একইভাবে অন্য কেউ রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন কোনো নাগরিকের তা বলার অধিকার নেই।
আদেশে বলা হয়, পিটিশনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়ার মতো নয়। একজন পাকিস্তান কূটনীতিকের পাঠানো তারবার্তাকে বিতর্কিত করা এবং বিচারের বিষয়ে পরিণত করা জনগণ এবং রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী। সূত্র : ডেইলি জং