রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির (প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস) সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ির চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়িই বেশি পারাপার হচ্ছে। একই সঙ্গে পারাপার হচ্ছে জরুরি সেবামূলক অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য গাড়ি।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত দীর্ঘ তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের সারি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে দ্বিতীয় সারিতে যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়ালও রয়েছে। ঘাটে অন্তত পাঁচ শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় আটকে আছে। যাত্রীবাহী বাস ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ৩-৪ ঘণ্টা সিরিয়ালে অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পাচ্ছে। তবে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ৮-১০ ঘণ্টা পর ফেরির দেখা পাচ্ছে।
খুলনা থেকে আসা তরমুজবোঝাই ট্রাকের চালক শিমুল শেখ বলেন, ‘সকাল ৭টায় ঘাটে এসে আটকে আছি। চোখে প্রচুর ঘুম। সারারাত গাড়ি চালাতে হয়েছে। সিরিয়ালে আটকে আছি বলে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসেই ঘুমাচ্ছি। তিন ঘণ্টা পার হলেও এখনও ফেরির দেখা পাইনি। তারপর আবার গরম।’ রাজধানী থেকে আসা ঘাট এলাকায় কয়েকজন যাত্রী জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনের পাশাপাশি ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে আগেই এই নৌপথে গ্রামের পথে ছুটছেন। তবে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফেরির সংখ্যা কম থাকায় ঘাটে যানবাহন নিয়ে দীর্ঘ সময় তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে ও পরে ১০ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা থেকে অনেকেই আগেভাগে পরিবারকে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেজন্য ঘাট এলাকায় যানবাহনের একটু চাপ রয়েছে। বর্তমানে এই নৌপথে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।