নীলফামারীর জলঢাকায় প্রথমবার চাষ হয়েছে জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু -১০০ ধান,অধিক ফলন পাওয়ায়খুশি কৃষকেরা। উপজেলায় বোরো মৌসুমে বঙ্গবন্ধু ব্রি-ধান(১০০) এর নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের খালিশা খুটামারা এলাকায় এই নতুন জাতের ধান কর্তন করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) আনোয়ার হোসেন।এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রোগ ও পেকামাকড় সহনশীল এবং জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ব্রি-ধান-১০০ উদ্ভাবন করে। উদ্ভাবনের পর কৃষি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এবার মাঠ পর্যায়ে চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে।খালিশা খুটামারা ব্লকের কৃষক মকসুদার রহমান এবার দের বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন বঙ্গবন্ধু ব্রিধান-১০০।তিনি বলেন, অন্যান্য জাতের চেয়ে এ জাতের ধানের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশী হবে। আগাম ধান উঠায় দাম বেশী পাওয়া যাবে। পাশপাশি মাঝারী চিকন হওয়ায় বাজারে এ ধানের চালের চাহিদা রয়েছে। জিংক ও খাদ্যমান সমৃদ্ধ হওয়ায় এর ভাত খাওয়ার পর মানুষের মাঝে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন আহমেদ জানান, উপজেলায় দুই বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর চাষ করা লহয়।রোগ ও পেকামাকড় সহনশীল এবং জিংক সমৃদ্ধ মাঝারি চিকন নতুন এই জাতের ধান চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে।স্বল্প খরচে প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ২০ মন করে। এছাড়াও এ জাতের চালের ভাত খেতে সুস্বাদু ও জিংক সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে মানুষের। তনি আরও জানান, পরীক্ষামূলক চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর আবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছে কৃষি বিভাগ। নমুনা শস্য কর্তনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মীর হাসান আল বান্না, কৃষক ইয়াকুব আলী ও মকসুদার রহমান প্রমুখ।